Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরান সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অ্যামনেস্টির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম

লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি রিপোর্ট গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে ইরানে যে গণবিক্ষোভ হয়েছিল তাতে অত্যন্ত কঠিন শক্তি প্রয়োগ করেছিল দেশটির শাসকগোষ্ঠী। সে সময় হঠাৎ করেই তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল ইরান সরকার। মার্কিন অবরোধে বিধ্বস্ত অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয় ওই বোঝা। তবে মানুষ সরকারের এই আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ওই আন্দোলন দমনে নির্মম রাস্তা বেছে নেয় ইরান। ডয়েচে ভেলে
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ভয়ঙ্কর অত্যাচার করে বেআইনিভাবে স্বীকারোক্তি নিয়েছে। বিক্ষোভের পরই কয়েকশ’ আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। দশ বছরের বাচ্চাকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের রিপোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে। যাদের সঙ্গে অ্যামনেস্টি কথা বলেছে, তারা জানিয়েছেন, যাকে খুশি নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। অনেকেই গুম হয়ে গেছেন।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, বিভিন্নভাবে বিক্ষোভকারীদের নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের মারা হয়েছে, ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছে, পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়েছে, যৌনাঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়ো সেপ্র করা হয়েছে, যৌন নির্যাতন করা হয়েছে এবং হাত ও পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।
আটক করা হয় অন্তত ৭ হাজার আন্দোলনকারীকে। যার মধ্যে ১০ বছর বয়সী শিশুও ছিল। বিক্ষোভের ভিডিও, আদালতে দেয়া অভিযোগপত্র, আদালতের বিবৃতি এবং অর্ধশতাধিক আটককৃতের সাক্ষাতকার মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি।
অসমর্থিত সূত্রের বরাতে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞ জানান, বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। ইরান ওই বিক্ষোভকে দুর্বৃত্তায়ন আখ্যা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং সউদী আরবকে দায়ী করে তারা। একে গভীর ষড়যন্ত্র বলেও অভিহিত করে ইরান।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইরানি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এর আগে বিক্ষোভের বিষয়ে অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তেহরান।
এদিকে ইউনিভার্সিটি অব তেহরানের নর্থ আমেরিকা বিষয়ক প্রধান মোহাম্মদ মারান্দি বলেন, অ্যামনেস্টি একটি পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিষ্ঠান। মার্কিন প্রশাসনসহ পশ্চিমা সরকারগুলো যার পৃষ্ঠপোষক।



 

Show all comments
  • Jack Ali ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:০১ পিএম says : 0
    May destroy Iranian government-- they are killing muslim in Syria.. Also they are Helping Huthi to kill muslim and raping our mother and daughter.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ