মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের বিরুদ্ধে ট্রান্সটল্যান্টিক জোট গঠনের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে চীনও ইউরোপকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছে। ‘চরমপন্থী শক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রকে যৌথভাবে মোকাবেলা করার জন্য রোববার ইউরোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা প্রথম’ স্লোগানকে তিরস্কার করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা কখনই চীনকে প্রথমে নিয়ে কথা বলি না।’ তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে বর্তমানে চীন-মার্কিন সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। তারা প্রকাশ্যে অন্য দেশকে পক্ষ নিতে বাধ্য করছে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ককে দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে।’ ওয়াং ই আরও বলেন, ‘মানব ইতিহাসের এই জটিল মুহুর্তে, মানুষ জাতির ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে, ঘৃণা ও সংঘাতের সৃষ্টিকারী যে কোনও কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে চীন এবং ইইউকে যৌথভাবে রুখে দাঁড়ানো উচিত।’
প্রসঙ্গত, হোয়াইট হাউসের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান চীনা প্রযুক্তি এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের বিরুদ্ধে যৌথ কৌশল সম্পর্কে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের ব্রিফ করতে ফ্রান্স সফর করার এক মাস পরে ওয়াং ই দেশটি সফর করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিকের প্রেসিডেন্ট পদ-প্রার্থী জো বাইডেনও নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারলে ইউরোপীয় সহযোগীদের সাথে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
সফরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাঁখো, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইভ লে ড্রিয়ান এবং সংবিধানিক কাউন্সিলের সভাপতি লরেন্ট ফ্যাবিয়াসহ একাধিক ফরাসী নেতা ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ফ্রান্স হচ্ছে অন্যতম দেশ, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরতা থেকে সরে এসে ‘কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন’-র দিকে চাপ দিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফরে এসেই এখন পর্যন্ত মার্কিন বিরোধী সবচেয়ে শক্তিশালী মন্তব্য করেছেন। এর আগে তিনি ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং নরওয়েতে বিরতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন দেখে সন্তুষ্ট। এটিকে স্থিতিশীলতা দেয়ার লক্ষ্যে, চীন ফ্রান্স এবং ইউরোপের সাথে একসাথে দাঁড়িয়েছে।’
এর পরে এক বিবৃতিতে লে ড্রিয়ান বলেন, ‘দুই দেশ বাণিজ্যিক বিষয়াদি এবং বিশেষত কৃষি-খাদ্য খাতে বাজার অ্যাক্সেস নিয়ে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি এভিয়েশন এবং ব্যবহারিক পারমাণবিক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ হংকংয়ের বিষয়টিও উত্থাপন করে ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়ে ফ্রান্সের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি চীন, বিশেষত হংকং এবং জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে ফ্রান্সের গুরুতর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।