করোনার মৃত্যুর মিছিলে আবার উঠে এসেছে দক্ষিণাঞ্চলের নাম। শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৭৪ থেকে ৫১ জনে হ্রাস পেলেও মৃত্যু হয়েছে একজনের। টানা ১৩ দিন পরে বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলে মৃত্যুর মিছিল থামলেও একদিন বিরতি দিয়েই শুক্রবারে ঝালকাঠীতে করেনা সংক্রমণে আরো একজনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১’তে। এ পর্যন্ত সরকারীভাবে আক্রান্ত ৭ হাজার ৪৩৬। আর দক্ষিণাঞ্চলে মোট সুস্থ্য হয়েছেন ৫ হাজার ৭৪৫ জন। যারমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় রয়েছেন ৭৮ জন।

জেলা সদরের হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ৭৫ বছর বয়সী একজন পুরুষের মৃত্যুর ফলে ছোট জেলা ঝালকাঠীতে মোট সংখ্যাটা ১৫ জনে উন্নীত হল। আক্রান্তর সংখ্যা ৬৩১। জেলাটিতে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ১৬ থেকে ৩ জনে হ্রাস পেয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৫২ জনের এবং ভোলা হাসপাতালের ল্যাবে আরো ৩২ জনের মধ্যে ৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে।

বরিশালে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৩৫ থেকে ২০ জনে হ্রাস পেলেও জেলাটিতে মোট সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৫ জনে। মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। জেলাটিতে নতুন ৩৭ জন সহ সর্বমোট সুস্থ হয়েছে ২,৪৭৫ জন।

শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় পটুয়াখালী, ভোলা ও পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এসময় পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৫ থেকে ৬ জনে উন্নীত হবার ফলে মোট সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ১ হাজার ২৮৫ জনে। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৭ থেকে ১০ জনে উন্নীত হবার মধ্যে দিয়ে মোট সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ৯৬৪’তে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। আর ভোলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের একজন থেকে ৪ জনে উন্নীত হয়েছে শুক্রবারে। দ্বীপ জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু ছাড়াও ৬৫০ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বরগুনাতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ১০ থেকে ৮ জনে হ্রাস পেয়েছে। এনিয়ে জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪১ জনে উন্নীত হল। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।