Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে বেলারুশে ব্যাপক বিক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২০, ১১:৫৪ এএম

প্রেসিডেন্ট নির্বচানের ভোটাভুটি শেষ হতেই বেলারুশের রাজধানী মিনস্কসহ একাধিক শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জরিপের তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পরই বিরোধীরা দাবি করে, ভোটে কারচুপি হয়েছে। গতকাল রোববার রাত থেকে বেলারুশের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকে বিরোধীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে প্রচুর বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের মুখে স্লোগান। গাড়ির হর্ন বাজছে, সাইরেন বাজছে। কয়েকশ দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ হাতে ঢাল নিয়ে দঁড়িয়ে আছে। কিছু বিক্ষোভকারী ময়লা ফেলার গাড়ি দাঁড় করিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে। পুলিশ তখন জলকামান ছোড়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।
বেলারুশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গতকাল রোববার রাত থেকে পুলিশ মিনস্ক শহরে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে। কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। ভিয়াসনা মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অ্যালেস সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ‘কয়েকশ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকশ লোক আহত হয়েছে। পুলিশ বিক্ষোভ থামাতে প্রবল বলপ্রয়োগ করছে।’
বিরোধী নেত্রী স্ভেতলানা জানিয়েছেন, তিনি এক্সিট পোলের ফল বিশ্বাস করেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন তাঁর দিকে আছে। স্ভেতলানা শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্বামী সরকারবিরোধী ব্লগার। কিন্তু সরকার তাঁকে আটক করায় তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেননি। তখন স্ভেতলানা নির্বাচনে দাঁড়ান। তাঁর জনসভায় প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে বেলারুশে কোনো জনসভায় এত লোক হয়নি।
স্ভেতলানার সমর্থক ভেরোনিকা বলেছেন, ‘আমার ধারণা, আইনের রক্ষকরা জনতার দাবি মানবেন। তাহলেই রক্তপাত ছাড়া মিনস্কে শান্তি ফিরবে।’ ভেরোনিকার স্বামীও ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকেও দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। তারপর ভেরোনিকারা স্ভেতলানাকে সমর্থন করছেন।
এদিকে রাশিয়ার প্রবীণ এমপি এবং স্টেট ডুমা কমিটির চেয়ারম্যান লিওনিড স্লাটস্কি বলেছেন, বেলারুশের অবস্থা ২০১৪ সালের ইউক্রেনের মতো হতে পারে। যেখানে রুশপন্থী প্রেসিডেন্টকে জনগণ রক্তাক্ত বিপ্লবের মাধ্যমে উৎখাত করেছিল। লিওনিড স্লাটস্কির মতে, বেলারুশের জনগণ তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে সক্ষম। বিদেশি শক্তি যেন এখানে হস্তক্ষেপ না করে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে বলা হয় ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক’। তিনি ১৯৯৪ থেকে কড়া হাতে বেলারুশ শাসন করছেন। লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, তিনি থাকলে বেলারুশে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বেড়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ভোটের আগে এক হাজার ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও আছেন। ঠিক সময়ে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ইউরোপের অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশনের প্রতিনিধিরা ভোট পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেলারুশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ