মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিনব সামরিক মহড়া চালালো ইরান। হরমুজ প্রণালীতে নোঙ্গর করা একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে একের পর এক মিসাইল হামলা চালাচ্ছে ইরান। এরপর ইরানের কয়েকজন সেনাও নেমে গেলো হেলিকপ্টার থেকে ওই মার্কিন যুদ্ধজাহাজে। তবে এতেও কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি কোনো পক্ষেরই। কারণ এই পুরোটাই ছিল ইরানের একটি মহড়ার অংশ।
আচমকাই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলে। মিসাইল হামলার হাই অ্যালার্ট জারি হয়ে গিয়েছিল মার্কিন নৌসেনার একাধিক যুদ্ধ জাহাজে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, যুদ্ধ নয়, সামরিক মহড়ায় নেমেছে ইরানের সেনা বাহিনী। তবে সেই মহড়াও অভিনব। উপসাগরীয় অঞ্চলে নকল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা হয়েছিল। এরপর ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড সেই জাহাজ লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে। গুড়িয়ে দেওয়া হয় নকল মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ।
পারস্য উপসাগরে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা যখন বাড়ছে এমন সময়ই ইরানের পক্ষ থেকে এই মহড়া চালানো হলো। এই মহড়ার নাম তারা দিয়েছে মহানবী-১৪। এদিকে ইরানের মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের আদলে রণতরি বানিয়ে মিসাইল হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। এ নিয়ে মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি ইরানের দায়িত্বহীন ও বেপরোয়া আচরণ।
আমেরিকাও প্রাথমিকভাবে ইরানের এই অভিনব মহড়ায় হতচকিত হয়ে গিয়েছিল। উপসাগরীয় অঞ্চলে দুইটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজে হাই অ্যালার্ট ঘোষণা হয়েছিল। তবে খানিকক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, এটি ইরানের সামরিক মহড়া। আসল যুদ্ধ নয়। তবে যেভাবে ইরান এ কাজ করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করেছে অ্যামেরিকা। উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নৌ বাহিনীর কম্যান্ডার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ''এই অঞ্চলে অ্যামেরিকা সহযোগী দেশগুলিকে নিয়ে উপসাগরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। এই অঞ্চলকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য। আর ইরান সেখানে নিজেদের আক্রমণাত্মক চেহারা প্রকাশ করছে। যা এই অঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।'' বস্তুত, যেভাবে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার ছবি দেখানো হয়েছে, তা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি অ্যামেরিকা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হরমুজ প্রণালীর এই মহড়া ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনেও সম্প্রচারিত হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, ইরান নিজেরাই একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের মতো একটি রণতরি সাজিয়েছে। সেখানেই একের পর এক চালানো হচ্ছে মিসাইল হামলা।
এ বিষয়ে ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, আজকের মহড়ায় যা দেখানো হয়েছে সবই আক্রমণাত্নক ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।