নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আফগানিস্তানকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। আগামী ৮ অক্টোবর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। শুধু আফগান ম্যাচই নয়, বাছাইয়ে লাল-সবুজরা অন্য দুই হোম ম্যাচ ভারত এবং ওমানের বিপক্ষে খেলবে সিলেটেই। বাছাইয়ে আফগানিস্তানের পর বাংলাদেশ ১৩ অক্টোবর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে দোহায় কাতারের বিপক্ষে। এরপর ঘরের মাঠে ১২ নভেম্বর ভারত ও ১৭ নভেম্বর ওমানকে মোকাবেলা করবে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী।
দেশের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম রেখে কেনো সিলেটে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলা হবে? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে। তবে এই প্রশ্নের উত্তরে বাস্তবতাকে দাঁড় করাতে হয়। বাস্তবতা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য উপযুক্ত ভেন্যু নয়। আন্তর্জাতিক ভেন্যুর জন্য ফিফার যে ক’টি কঠিন শর্ত থাকে তার অন্যতম গ্যালারিতে চেয়ার থাকা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পুরো গ্যালারিতে এখন চেয়ার নেই। যেখানে চেয়ার আছে সেই চেয়ারগুলোও বসার উপযুক্ত নয়। হাতে সময় না থাকায় সংস্কার বা গ্যালারিতে নতুন চেয়ার বসানোর কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা বিধায় সিলেটে বাছাইয়ের হোম ম্যাচগুলো আয়োজনের সিদ্ধান্ত। আর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অনেক আগেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করে। তাই সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজও শুরু করে দিয়েছে এনএসসি। সিলেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে চেয়ার স্থাপন করলে দর্শকধারণ ক্ষমতা কমে ১৫/১৬ হাজারে নেমে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে টিকিট নিয়ে যে তুলকালাম কান্ড ঘটে যাবে তা বলাবাহুল্য।
তাই বাফুফে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিনটি হোম ম্যাচের টিকিট ব্যাংকের মাধ্যমে বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে।
যদিও বাফুফের পরিকল্পনা ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি সিলেটে আয়োজন করে ভারত এবং ওমান ম্যাচ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে করার। এ সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে চেয়ার স্থাপনও করা হবে। কিন্তু দুটি কারণে পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হয়েছে বাফুফেকে। প্রথম কারণ হলো- বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আছে। ওই কাজের আগে মাত্র দু’টি ম্যাচের জন্য গ্যালারিতে নতুন চেয়ার স্থাপন করাটা অর্থহীন। শুধু শুধু অর্থ অপচয়। আর দ্বিতীয় কারণ, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। এই মহামারির সময় প্রচুর টাকা খরচ করে গ্যালারিতে সাময়িক সময়ের জন্য চেয়ার বসানোকে অযৌক্তিক মনে করছে এনএসসি। তাই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাকি তিন হোম ম্যাচই সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বাফুফে। এশিয়ান কনফেডারেশনের (এএফসি) বেধে দেয়া সময়ের মধ্যেই তিন ম্যাচের ভেন্যুর নাম জানিয়ে দেবে বাফুফে।
ভেন্যু নিয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ সোমবার বলেন,‘সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের কাজ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। আশাকরি, পুরো গ্যালারিতে চেয়ার বসে যাবে সহসাই। তাতে দর্শকধারণ ক্ষমতা কমবে বলে টিকিটের ব্যাপক চাহিদা থাকবে। ঝামেলা এড়াতে আমরা তিন ম্যাচের টিকিটই ব্যাংকের মাধ্যমে বিক্রির চিন্তাভাবনা করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।