মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জানুয়ারিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ ইরানী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং নয় জনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্তে এই কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডকে ন্যায়সঙ্গত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি বিচারবহির্ভূত এবং স্বেচ্ছাচারিত মৃত্যুদণ্ড। এটি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণার লঙ্ঘন বলে তিনি জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে বৃহস্পতিবার ক্যালামার্ডের প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। এতে তিনি বলেছেন, সোলাইমানি মার্কিন স্বার্থে একটি আঘাত হানতে চেয়েছিলেন বলেও ওয়াশিংটন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ক্যালামার্ডের প্রতিবেদনের কিছু উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল সোলায়মানি ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের সামরিক কৌশল ও পদক্ষেপের নীতি-নির্ধারণী ভূমিকা পালন করতেন। কিন্তু মার্কিন দাবির বিপরীতে তিনি (মানুষের) জীবনের জন্য অত্যাসন্ন কোনো হুমকি ছিলেন না। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘের এই বিশেষ প্রতিবেদকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আত্মরক্ষার অজুহাতে তৃতীয় কোনো দেশে আরেকটি দেশের সেনা কমান্ডারের ওপর এই প্রথম এ ধরনের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। অথচ জাতিসংঘ ঘোষণার ঘোরতর লঙ্ঘন সত্ত্বেও জেনারেল সোলাইমানি এবং তার সঙ্গে থাকা একজন পদস্থ ইরাকি সেনা কমান্ডারকে হত্যার দায়ে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা আমেরিকাকে শাস্তি দেয়ার পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রতিবেদনে বিশ্বের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য সামরিক ড্রোন ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন তৈরি ও তা কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় তাকে বহনকারী গাড়ির বহরে ড্রোন হামলা চালায় ইরাকে মোতায়েন সন্ত্রাসী মার্কিন সেনাবাহিনী। হামলায় জেনারেল সোলাইমানি এবং ইরাকের জনপ্রিয় গণবাহিনী ‘হাশদ আশ-শাবি’র উপপ্রধান মাহদি আল মুহান্দিসসহ আরও কয়েকজন সেনা সদস্য নিহত হন। সূত্র: মিডল ইস্ট আই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।