প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জার্মানির হিপহপ তারকা মাইক বলেন, আমি সব সময় স্রষ্টায় বিশ্বাসী ছিলাম। নাস্তিক ছিলাম না। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধর্মও পালন করতাম না। সড়ক দুর্ঘটনার পর ভাবনায় স্রষ্টার চিন্তা প্রবল হলো। তিনি আমার লেখার বিষয় হয়ে উঠলেন। আমি তাঁর সন্ধান শুরু করি। চিন্তার সমন্বয় করতে গিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম হয় ; আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন - জীবনের উদ্দেশ্য কী ?
মা্কি বলেন, এক রাতে আমি বিস্ময়কর এক স্বপ্ন দেখে অভিভূত হলাম। যেন আমি ভিন্ন সময়ে ছিলাম-যখন কোনো গাড়ি বা উড়োজাহাজ ছিল না। আমি শহরের বাইরে এক মরুভূমিতে দাঁড়ানো ছিলাম। উষ্ট্রারোহী একটি কাফেলা শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার পাশেই ছিলেন কালো চুল ও দাঁড়িওয়ালা একজন সুদর্শন মানুষ, তার হাতে ছিল একটি লাঠি। তিনি তা দিয়ে বালুর ওপর কিছু লিখলেন এবং আমার দিকে তাকালেন।
জানতে চাইলেন, তিনি যা লিখেছেন তা আমি বুঝেছি কি না। আমি বুঝতে পারলাম না এবং ঘুম ভেঙে গেল। স্বপ্নটি আমাকে ঝাঁকুনি দিলো এবং আমি দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কাঁদলাম। আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে স্বপ্নের কথা বললাম। তারা বলল, এটি ইসলামের দিকে ইঙ্গিত দেয়। নিজের জীবন ও স্রষ্টার সম্পর্কে আমি যে অনুসন্ধান করছি, তার উত্তর এই স্বপ্নে আছে।
তারা আমাকে স্বপ্ন অনুসরণের পরামর্শ দিল এবং আমি তা - ই করলাম। ইসলাম সম্পর্কে পড়তে শুরু করলাম। অতঃপর আখেন শহরে গেলাম এবং শাহাদাতবাক্য পাঠ করলাম ।
কথাগুলো জার্মানির একজন ‘ হিপহপ ’ তারকা মাইক জাহ্নকের। ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনা তার জীবনের গতিপথ পাল্টে দেয়। বিছানাবন্দী সময়ে তিনি স্রষ্টা ও নিজের জীবন নিয়ে ভাবার অবকাশ পান। গভীর চিন্তাভাবনার ভেতর একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন তাঁকে ইসলামের কাছাকাছি নিয়ে আসে এবং তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ।
তিনি বলেন , ইসলাম গ্রহণের পর একজন মুসলিমের জীবন কেমন হওয়া উচিত তা শিখতে শুরু করলাম। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শিখলাম , কোরআন তিলাওয়াত শিখলাম। জানতে পারলাম সৃষ্টিজগৎ ও আমার জীবনের উদ্দেশ্য। স্রষ্টার ইবাদতে আমি প্রশান্তি খুঁজে পেলাম। আমি আগের চেয়ে ভালো মানুষে , সহনশীল মানুষে পরিণত হলাম। আমি আমার পুরনো ‘ প্রদর্শনী ’ র ব্যবসা ছেড়ে দিলাম ।
মাইক জাহ্নকে আরো বলেন , ‘ একটি সাধারণ জার্মান পরিবারে আমার জন্ম। সাধারণ শিশুর মতোই আমি স্কুলে যাই , পড়ালেখা সম্পন্ন করি এবং একটি পেশা বেছে নিই। সংগীতের সঙ্গে আমার আবেগ জড়িয়ে ছিল শৈশব থেকে। অর্থ উপার্জন শুরু করার পর থেকেই আমি সংগীতের যন্ত্র ও উপকরণ সংগ্রহ করতে থাকি। নিজেই গান লিখি এবং নিজেই কম্পোজ করি ।
ধীরে ধীরে সংগীতশিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। আমার মিউজিক পার্টনারের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করার পর দ্বিতীয় চুক্তিতে আবদ্ধ হই , যা ছিল জার্মান সমাজে বড় ধরনের একটি চুক্তি। সবখানে আমাদের গান বাজছিল। আয় ভালো ছিল , জীবনও ভালো কাটছিল। এর মধ্যে এক সকালে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলাম আমি। ’
‘ সড়ক দুর্ঘটনার পর কোনো কিছুই আর আগের মতো ছিল না। আমি বেশ চিন্তাশীল হয়ে উঠলাম। জীবন নিয়ে চিন্তা করে আমি বিস্মিত হলাম। জীবনের মূলকথা কী ? জীবনের উদ্দেশ্য কী ? আমি কোথায় ছিলাম এবং এই জীবন কেন ? রাতে বারান্দায় পা ঝুলিয়ে আকাশের দিকে , চাঁদের দিকে তাকিয়ে ভাবতাম - এই বিশাল সৃষ্টিজগতের উদ্দেশ্য কী এবং এখানে আমার ভূমিকা কী হবে ?’
সূত্র : সময়টিভি, বেঙ্গল রিপোর্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।