মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, সা¤প্রতিক মাসগুলোতে তার সমর্থন কমে যাওয়া সত্তে¡ও শক্তিশালী সমর্থনের ভিত্তিতে বলা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।
জারিফ শনিবার একটি সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, ‘মানব বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করা বিশেষত তরল এবং গভীর পরিস্থিতিতে, তবে মি. ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা এখনও ৫০ শতাংশেরও বেশি বলে অনুমান করি। অবশ্যই তার সম্ভাবনা চার থেকে পাঁচ মাস আগের তুলনায় মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে’।
জারিফ ইরানি সাংবাদিক ফরিদ মোদাররেসির সাথে ইনস্টাগ্রামে সরাসরি সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, ‘তবে মি. ট্রাম্পের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভিত্তি রয়েছে যেটি সরেনি এবং যতক্ষণ এই ঘাঁটিটি সরবে না, ততক্ষণে তার পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে’। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের কোন সিনিয়র কর্মকর্তার সাথে এটি এ ধরনের প্রথম সাক্ষাৎকার।
গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনকে টেনে নামিয়ে আনার এবং তেহরানের অর্থনীতিকে বিকল করে দেয়া নিষেধাজ্ঞা পুনরায় চাপানোর পর থেকে ইরান ও আমেরিকার সম্পর্কের অবনতি আরও খারাপ হয়ে গেছে। ইরান চুক্তির আওতায় আস্তে আস্তে তাদের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করে জবাব দিয়েছে।
ট্রাম্প এ মাসের গোড়ার দিকে বলেছিলেন যে, নভেম্বরের নির্বাচনে ইরানের নেতারা তার পরাজয়ের আশা করলে ভুল হবে। সা¤প্রতিক মতামত জরিপে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে। ট্রাম্প ইরানকে সম্বোধন করে টুইট করেছেন, ‘বড় চুক্তি করার জন্য মার্কিন নির্বাচনের পর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। আমি জিততে যাচ্ছি, আপনি এখনই আরও ভাল চুক্তি করবেন’!
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল যে, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোর মতো নির্বাচনকেও পলিসির ভিত্তি বানাবে না। জারিফ সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ট্রাম্প নিজেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ইরানের বিরুদ্ধে তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ দেয়ার নীতিগুলো ব্যর্থ হয়েছে।
জারিফ বলেন, ‘আমি মনে করি না, ট্রাম্প এমন আলোচনায় বিশ্বাস করেন যে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটতে চলেছে’। ‘তবে সে তার ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি করে চলেছে। দেখে মনে হচ্ছে যে, তারা (মার্কিন কর্মকর্তারা) জানেন, তারা ত্রুটি করেছে তবে তাদের কীভাবে সংশোধন করতে হয় তা জানে না’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।