নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যুগে যুগে নানা দেশে, নানা অঞ্চলে দেখা গেছে বর্ণবৈষম্য। গত কদিনে এই বিষয়টা সামনে এসেছে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর। এ হত্যাকান্ডের পর সারা বিশ্ব আবারও ফুঁসে উঠেছে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। এই বিক্ষোভে নানাভাবে অংশ নিচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের তারকা, কিংবদন্তিরাও। এবার জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও যোগ দিলেন এ প্রতিবাদে।
গতকাল সকালে নিজের অফিশিয়াল টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেন মুশফিক।
ছবিতে দেখা যায়, একটা সাদা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জাতীয় দলের এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। প্ল্যাকার্ডে কালো হরফে লেখা, ‘আমি বর্ণবাদকে ঘৃণা করি। বর্ণবাদকে “না” বলুন।’ ক্যাপশনেও একই কথা লিখেছেন মুশফিক। টুইটার ও ফেসবুকের কল্যাণে মুশফিকের এই বার্তা পৌঁছে গেছে দেশ-দেশান্তরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ভারতের আইপিএল খেলতে গিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাঁকে। স্যামির দাবি, সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সময় তাঁকে ও শ্রীলঙ্কান সতীর্থ থিসারা পেরেরাকে ‘কালু’ ডাকা হতো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ অধিনায়কের দাবিতে তোলপাড় ক্রিকেট বিশ্ব।
বর্ণবাদ নিয়ে মন্তব্য করেছেন সাবেক উইন্ডিজ তারকা মাইকেল হোল্ডিংও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংহতি জানানো, কিংবা খেলার মাঠে গোল উদযাপনের সময় বা খেলার সময় হাতে কালো ব্যান্ড পরে- বিভিন্নভাবেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, জাডন সানচো, কোকো গফ, লেব্রন জেমস, মার্কাস থুরাম, ওয়েস্টন ম্যাকেনির মতো ক্রীড়াবিদেরা। মুশফিক-স্যামিদের এই আবেদনে কি আইসিসির চোখ খুলবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।