পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন নির্বাচনের কয়েকদিনের মধ্যেই জার্মান কিউঅ্যানন অনুসারীরা রটনা ছড়াতে শুরু করে যে, সি.আই.এ পরিচালিত ফ্রাঙ্কফুর্টের সার্ভার ফার্ম থেকে ভোট কারচুপি করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। যদিও কাগজের মেইল-ব্যালটে কয়েক লাখ ভোট জমা পড়েছিল। জার্মান গবেষক জোসেফ হলœবার্গার রটনাটি সম্পর্কে তদন্ত করতে যেয়ে জানতে পারেন যে, একটি জার্মান ভাষার অ্যাকাউন্ট থেকে আসা এ রটনাটি জার্মান আদ্যাক্ষর এএফডি দ্বারা পরিচিত উগ্রপন্থী রাজনৈতিক দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’র কমপক্ষে একটি স্থানীয় দলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আমেরিকা থেকে হাইলাইট করে এটিকে সমর্থন দেয়া হয়। এভাবেই আমেরিকাতে জার্মান কিউঅ্যানন ষড়যন্ত্র প্রথমবারের মতো ভাইরাল হয়।
চরমপন্থী নেটওয়ার্কগুলোর বিশেষজ্ঞ মিরো ডিট্রিচ বলেছেন, ‘বহির্মুখী লিঙ্কগুলো গঠনমূলক হওয়ার পরিবর্তে উদ্দীপনামূলক। এটি যতোটা সহিংস হওয়ার সম্ভাবনা রাখে, ততোটা কোনও নিরেট পরিকল্পনা তৈরি করার মতো যথেষ্ট নয়।’ তবু বিশেষজ্ঞরা বর্ণবাদী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আরও টেকসই ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনায় শঙ্কিত। সাম্প্রতিককালে, ট্রাম্পের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাফল্যের স্থপতি স্টিফেন কে ব্যানন কয়েক বছর আগে ফ্রান্সের মেরিন লে পেন্স ন্যাশনাল র্যালি এবং জার্মানির এএফজি’র মতো জনপ্রিয় বর্ণবাদী দলগুলোকে একজোট করতে ইউরোপ ভ্রমণ করেছিলেন।
তবে, এ জাতীয় জোট মূল্যবান বা কার্যকর কি না তা নিয়ে চরমপন্থীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। অনেকের কাছে আন্তর্জাতিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ধারণাটি স্ববিরোধী। অস্ট্রিয়ান উগ্রবাদী প্রচারক সেলনার বলেছেন, ‘তাদের মধ্যে একটি সাধারণ আবহ এবং মতামত, মেমেস এবং প্রতীকগুলোর বিনিময় রয়েছে। তবে ইউরোপ এবং আমেরিকার রাজনৈতিক শিবিরগুলো অনেক আলাদা।’ আন্তর্জাতিক শেতাঙ্গতাবাদী দল দি বেজ’র প্রতিষ্ঠাতা রিনালদো নাজারো এখন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, রাশিয়ার উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে তার আগ্রহ নেই। তবে নাজারো বলেছেন, ‘আমেরিকার জাতীয়তাবাদীদের নিজেদেরই এ কার্যভার কাঁধে নিতে হবে। বাইরের সমর্থনটি সর্বোচ্চভাবে কেবলমাত্র সহায়ক হতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে নাজারোর সাথে অন্যদের মতো ভার্জির্নিয়ার শার্লোটসভিলে ২০১৭ সালের সহিংস বর্ণবাদী বিক্ষোভের সংগঠক ম্যাথিউ হাইমবাখও একমত নন। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এক দশক ধরে আমেরিকার চরমপন্থী এবং শেতাঙ্গবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা ইউরোপ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা করছে।’ তিনি চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি এবং গ্রিসে সমমনা গোষ্ঠীগুলোর সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েক বছর কাজ করেছিলেন এবং কিছুটা সাফল্য পেয়েছেন। এমনকি আমেরিকা রাশিয়ান ইম্পেরিয়াল মুভমেন্টকে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে ঘোষণার আগেও তিনি ২০১৭ সালে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দলের জন্য অভ্যর্থনার আয়োজন করেছিলেন। রাশিয়ার এবং বিদেশী চরমপন্থী জাতীয়তাবাদীদের প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়াতে আধা সামরিক স্টাইলে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালানো এ সংগঠনের সদস্যরা আমেরিকাতে দুই সপ্তাহ ছিল এবং ব্যাপক ভ্রমণ করেছিল।
ভ্রমণের ছবিগুলোতে হোয়াইট হাউস এবং ক্যাপিটলের সামনে একটি রাশিয়ান ইম্পেরিয়াল পতাকা লাগিয়ে হাইমবাখ এবং দলের অন্যতম নেতা স্ট্যানিসøাভ শেভচুককে দেখা যায়। গত ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল দাঙ্গার সমালোচনা করে এবং শেতাঙ্গবাদকে ত্যাগ করার দাবি জানিয়ে হিমবাখ বলেছেন, তিনি তার রাশিয়ান অতিথিকে ডলিউড এবং টেনেসির কান্ট্রি মিউজিক হল অফ ফেমেও নিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও ভ্রমণ সম্পর্কে শেভচুক লিখেছিলেন, ‘আমার দৃষ্টি একটি ভিন্ন চরমপন্থী শেতাঙ্গবাদী আমেরিকার দিকে নির্মিলিত হয়েছিল এবং আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, তাদের সাথে রাশিয়ানদের অনেক মিল রয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।