Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়াসিম আকরামের হৃদয়ে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশে অনেকবার এসেছেন ওয়াসিম আকরাম। কখনও খেলতে, কখনও ধারাভাষ্য দিতে। যতবারই এসেছেন, নতুন ভালো লাগা নিয়ে ফিরেছেন। এই কিংবদন্তি পেসার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সব সময় তার হৃদয়ের খুব কাছের। তামিম ইকবালের নিয়মিত ফেইসবুক লাইভে গতপরশু অতিথি ছিলেন সাবেক তিন অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন, আকরাম খান ও খালেদ মাসুদ। এক পর্যায়ে যোগ দেন ওয়াসিম। পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার বাংলাদেশ নিয়ে তার ভালো লাগার কথা জানান, ‘ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য অনেকবার এসেছি। এখানে অনেক বন্ধু আছে। বাংলাদেশে না আসাটা আমি খুব মিস করি। বাংলাদেশ আমার হৃদয়ের খুব কাছে আছে। মানুষ, খাবার, দেশটা এবং ক্রিকেট... বাংলাদেশের ক্রিকেট গত ১০-১২ বছর যে অভাবনীয় উন্নতি করেছে এটা দেখা আমার জন্য খুব গর্বের।’
১৯৯৫ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে খেলেন মিনহাজুল-আকরাম-মাসুদদের সঙ্গে। এখন আর সেভাবে বাংলাদেশে আসা না হলেও, বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর ঠিকই রাখেন ওয়াসিম। গত এক দশকে টাইগারদের ক্রমাগত উন্নতির ধারা খেয়াল করেছেন তিনিও। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের ফিল্ডিং ততটা ভাল ছিল না, এখন হয়েছে বিশ্বমানের- এমনটাই মনে করেন ওয়াসিম, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট গত ১০-১২ বছর যে অভাবনীয় উন্নতি করেছে এটা দেখা আমার জন্য খুব গর্বের।’ সেই সাথে
বাংলাদেশের সাবেক তিন অধিনায়ককে একটু খোঁচাও মারলেন ওয়াসিম, ‘তামিম, সাকিব, মুস্তাফিজ, মুশফিকের মতো খেলোয়াড় উঠে এসেছে, এটা দেখতে ভালো লাগে। এরা (মিনহাজুল-আকরাম-মাসুদ) যখন ছিল, তখন ফিল্ডিং ততটা ভালো ছিল না। আর এখন বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং সাইডের একটি।’
একসঙ্গে মাঠে খেলার ফলেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন ওয়াসিমকে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক নান্নুও জানালেন ওয়াসিমের সেই অবদানের কথা, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়াসিম আকরামদের বিপক্ষে খেলা আমাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের ক্রিকেটের উন্নতির মূল জায়গা হচ্ছে আমরা ৯০ সালের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। নিয়মিত তারা উইলস কাপ খেলে গেছে, ফলে তাদের ফাস্ট বোলারদের আমরা খেলতে পেরেছি। তৌসিফ আহমেদের মতো খেলোয়াড়কে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে পেয়েছি। আমাদের দক্ষতা বাড়াতে ওয়াসিম আকরামদের মতো বোলারের অবদান অনেক ছিল।’
নান্নুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেছেন আকরাম খানও, ‘এখন তো অনেক ম্যাচ হয়। কিন্তু আমাদের সময় আসলে এত ম্যাচ হতো না। দুই বছরে আমরা দুই তিনটা ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে পারতাম। শুধু এশিয়া কাপ খেলা হতো। ফলে তখন এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া ছিল যে ওয়াসিম আকরামের মতো একজন বড় ক্রিকেটার এসে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন এবং আমরা তাদের মতো বোলারের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছি।’
তামিমের লাইভে উপস্থিত ছিলেন সবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনিও ভোলেননি ওয়াসিম আকরামের অবদানের কথা। খেলোয়াড়ি জীবনের কথা স্মরণ করে বলেছেন, কীভাবে ওয়াসিমের কথা তাকে অনুপ্রেরণা দিত, ‘ওয়াসিম আকরামের মতো খেলোয়াড় যখন আমাদের সঙ্গে খেলেছে, তখন কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়ে যায়। সে যখন আবাহনীর হয়ে খেলতে এসেছিল, তখন আমি ওই দলের কিপার। আগের রাতে আমার ঘুম হয়নি। দ্রুত গতি বোলার, এক্সট্রা বাউন্স সবকিছু মিলিয়ে আমি খুব ভয়ে ছিলাম। আগের রাত থেকে আমার মধ্যে টেনশন কাজ করেছে। তারপরও তার বলে দারুণ সেভ করেছিলাম। ডাউন দ্য লেগে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরেছিলাম। আমার কাছে এসে আমাকে বলেছে, “তুইতো মঈনের মতো ক্যাচ ধরেছিস।” অনুপ্রেরণাম‚লক কথা কিছু কিছু মানুষকে অনেক উৎসাহী করে তোলে। আমার মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করেছে, এত গতির বল যদি আমি ধরতে পারি, তাহলে সাধারণ গতির বল কেন আমি ধরতে পারবো না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ