পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন উর্দ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। তারা দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বলে মন্তব্য করে বংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের হাসি-কান্না অনেকটাই নির্ভর করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের উপর। মূল্য কম থাকলে অথনা নিয়ন্ত্রনে থাকলে পেটভরে দুমুঠো খাওয়া যায়। দ্রব্যমূল্যের মূল্য লাগামছাড়া হলে অনেক সময়ই না খেয়ে কাটাতে হয় স্বল্প আয়ের মানুষদের।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের লাগমহীন উর্দ্ধগতির ফলে দেশে এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করতেও সাহস পাচ্ছে না। গরিব মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। বলা চলে দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, শুধু খাবার নয় ওষুধের দামও এখন সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ যে ওষুধটির দাম আগে ৫ টাকা ছিল এখন তা ৭ থেকে ৮ টাকা। ধনীরা সকালে ও রাতে সাধারণত ভাত খায় না। রুটিসহ অন্যান্য খাবার খায়। কাজেই চালের দাম বৃদ্ধি পেলে তাদের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো গরিব মানুষের। আর বাজার নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে সরকারের ব্যর্থ নীতির কারণেই।
তারা আরো বলেন, নিত্যপণ্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার মতো চলতে শুরু করার কারণেই সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে, সব ক্ষেত্রেই লুটপাট চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা মানুষ খাদ্য তালিকা থেকে পুষ্টিকর খাবার বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ পুষ্টিহীনতার শিকার হতে বাধ্য।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে অল্প সময়ের ব্যবধানে আমদানিনির্ভরতা কমানোর কাজটি কঠিন। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ আরও বিভিন্ন কারণে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কাজেই জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর আমদানিনির্ভরতা ধাপে ধাপে কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা বলেন, ভবিষ্যতে পণ্যের বিশ্ববাজার পরিস্থিতি যতই স্বাভাবিক হয়ে আসুক না কেন এবং দেশে উৎপাদন যতই বৃদ্ধি পাক না কেন, বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা না থাকলে ভোক্তাদের দুর্বিষহ কষ্টের অবসান হবে না। যেহেতু বাজার তদারকি সংস্থার কোনো কোনা সদস্যের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের যোগসাজশের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে, সেহেতু এক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মূলে সরকারকে এখনই জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।