Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরান যেমন দেখলাম

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২০, ১২:০৫ এএম

শিল্প-সাহিত্য সমৃদ্ধ দেশ ইরান। বিশ্ব সাহিত্যে অনন্য গ্রন্থ ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত, ফেরদৗসীর শাহনামা, হাফিজের দিওয়ান, শেখ সাদীর গুলিস্তাঁ এই ইরান দেশের সম্পদ। ইরানকে আরো সমৃদ্ধ করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও দার্শনিক ইবনে সিনা। ঐতিহ্য মন্ডিত, সমৃদ্ধ ও সম্পদশালী এই দেশকে নিজের চোখে দেখার জন্য বাংলাদেশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ছুটে যান ইরানে। ঘুরে ঘুরে দেখেছেন আপন মহিমায়। শুধু দেখেই ক্ষান্ত হননি, এই দেখা নিয়ে ভ্রমন কাহিনী রচনা করছেন। বইয়ের নাম দিয়েছেন ‘ইরান যেমন দেখলাম’।

যারা ইরানকে জানতে চান এই বই পাঠে তাদের জানার তৃষ্ণা অনেকাংশে মিটবে বলে আমার বিশ্বাস।
বইয়ের ২০ পৃষ্ঠায় লেখক লিখেছেন, ‘আমরা চলেছি কাশান নামক শহরের দিকে। যেতে হবে কোম শহর পার হয়ে। কোম শহর বর্তমানে ইরানের তথা শিয়া সম্প্রদায়ের একটি বিখ্যাত ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বের শহর। কোম ইমাম খোমেনির আধ্যাত্মিক নিবাস ছিল। আমরা মাত্র একরাত থাকব কাশান শহরে’।
২০ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘কাশানের উপকণ্ঠের বাড়িগুলোও ধূসর রংয়ের। তেমন দর্শনীয় বাড়ি-ঘর নয়। লোক সংখ্যা অনেক কম। মনে হয় এ সময় শহরের লোকজন খুব বাইরে কেউ নেই। বাইরে বেশ গরম।’
২০ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘ইরানের খবারের তালিকায় সানগাক রুটি ছাড়াও আরও অন্যান্য ধরনের রুটি রয়েছে যা এ অঞ্চলের অনেক দেশে খাবারের প্রধান উপাত্ত। সবই তন্দুরে তৈরি হলেও অবশ্য বিভিন্ন সাইজের পাথরের উপরেই তৈরি হয়। ইরানের খুব কম রেস্তোরায় এই রুটি তৈরি হয়, বেশির ভাগ তৈরি হয় বেকারিতে। অন্যান্য রুটির মধ্যে রয়েছে বারবারি রুটি যা ময়দা বা আটা দিয়ে বানানো হয় বেশ লম্বা করে, সাধারণ মাপ ৭০ বাই ২৫ সিএম। তাফলুম রুমি যা আমাদের অঞ্চলে তন্দুরি বলে পরিচিত। তারপর রয়েছে সিরমাল, চান্দি ও লাভাস। তবে সানগাকই যথেষ্ট জনপ্রিয় রুটি।’
এভাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের লেখা ভ্রমন কাহিনী ‘ইরান যেমন দেখলাম’ বইয়ের ২৯২ পৃষ্ঠা জুড়েই আছে ইরানের কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধির গল্প।
বইটি ছোট ছোট বাক্যে সহজ সরল ভাষায় লিখিত। সকল শ্রেনির পাঠকের জন্যই সুখ পাঠ্য। ঝকঝকে প্রিন্ট। মজবুত বাঁধাই। চমৎকার প্রচ্ছদ। ইরান যেমন দেখলাম বইটি হতে পারে কোন প্রিয়জনের বিশেষ দিনের উপহার সামগ্রী।
প্রকাশ : একুশে বইমেলা ২০২০
প্রকাশক : ফোরকান আহমদ, পালক পাবলিশার্স, ঢাকা।
প্রচ্ছদ : এম সাফাক হোসেন
মূল্য : চারশত টাকা।
আলম শামস



 

Show all comments
  • Rushia Zaman ৮ মে, ২০২০, ৭:০৫ পিএম says : 0
    দারুন একটি বই৷ শুধু ইরানের কৃষ্টি শিল্পকলা বা সাহিত্যই নয় বইটি ইতিহাসের এক অনন্য ভাষ্য গাঁথা। যারা রাজনৈতিক বিষয়ে আগ্রহী তারা বইটিকে স্বাচ্ছন্দে গ্রহণ করতে পারেন৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন