বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশবাসীর করোনা আতঙ্কে যখন দিন কাটছে সবার। জরুরি সেবা ছাড়া ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সকল ধরনের পর্যটক বর্তমানে নিষিদ্ধ রয়েছে। সৈকত ও সাগরে নামতে দেয়া হচ্ছেনা স্থানীয়দেরকেও। ঠিক তখনই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিরল ডলফিন খেলা করতে দেখেছেন স্থানীয়রা। সে দৃশ্য স্থানীয় মাহাবুবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয় দেশব্যাপী।
কক্সবাজার পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত। যেখানে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। কিন্তু এই জনমানববিহীন সমুদ্র সৈকতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে সামুদ্রিক প্রাণীরা! সমুদ্র তীরের পাশেই দেখা মিলছে ডলফিনের! যা রীতিমতো অবাক করার মতোই। সমুদ্র সৈকতের জনবহুল পয়েন্টগুলোর তীরে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য উপভোগ করছেন সেখানে স্থানীয়রা! সৈকতের কাছাকাছি চলে এসেছে ডলফিনসহ সামুদ্রিক প্রাণীরা। কিছুক্ষণ পরপর পানির বুক চিরে লাফিয়ে উঠছে। যেন ডলফিনের উচ্ছলতায় ভরে উঠছে সাগরের বুক।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে ডলফিন শো মিশে যেন অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা করছে কক্সবাজারের সৈকতে। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় কয়েকজন সার্ফার সমুদ্র সৈকতে সার্ফিং করতে গিয়ে ডলফিনের এই দলটি দেখতে পান। মাহাবুবুর রহমান নামের এক সার্ফার ডলফিনের দলটির খেলা করার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে। মাহাবুবুর রহমান বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কলাতলি পয়েন্টে গত সোমবার সকালে এক দল ডলফিন খেলা করতে দেখা গেছে। ১০ থেকে ১২ টি ডলফিনের এই দলটি সকাল ৯টা থেকে সাগরে নীল জলে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা করছিল।
কলাতলী সমুদ্র সৈকতের একদম কাছেই ডলফিনগুলো খেলা করতে দেখা গেছে। সমুদ্র পাড় থেকে ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। স্থানীয় শুটকী ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান রাসেল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গতকাল শুক্রবারও সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমি সুগন্ধা পয়েন্টেও ৭ থেকে ৮ টি ডলফিন সৈকতের কাছাকাছি লাফিয়ে ওঠতে দেখেছি। গত ৪-৫ দিনে কক্সবাজারে নিস্তবদ্বতায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরে এসেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। আব্দুল গফুর নামের এক জেলে জানিয়েছেন, সকালে তিনি কলাতলী ও হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ডলফিনের একটি দল দেখতে পান। এই দলে বাচ্চাসহ ১০ থেকে ১২টি ডলফিন রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত ৩ দশকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কখনো ডলফিন খেলা করতে দেখা যায়নি। গত ৫ দিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কাউকে নামতে দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে সৈকতের দূষণ একেবারেই কমে গেছে। সৈকতে দূষণ ও পর্যটক না থাকায় ডলফিন এসেছে বলে ধারণা করছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।