নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কেও থেমে নেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনের কার্যক্রম। আগামী ২০ এপ্রিল বাফুফের বহুল আলোচিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দাফতরিক কাজ-কর্ম ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে বাফুফে প্রশাসন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যেখানে বাংলাদেশে দু’জন সহ সারাবিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে সেখানে নির্বাচন নিয়ে শনিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সভা করেছে বাফুফে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩ এপ্রিল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে আয়োজিত এই সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী ২০ এপ্রিল বাফুফের যে নির্বাচন হবে সেটিকে সামনে রেখে এবং তা হবে বলে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। আপাতত ৩ এপ্রিল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবো বলে সিদ্ধান্ত।’
বাফুফের মতিঝিলস্থ কার্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়নি। তাই নির্বাচনের ভেন্যু কোথায় হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,‘নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্থান ঠিক করবে বাফুফে। নির্বাচনের ভেন্যু নির্ধারণ কিংবা ভোটার তালিকা চুড়ান্ত করাসহ যাবতীয় কাজ বাফুফের নির্বাহী কমিটির এখতিয়ারে। তারা ঠিক করবে সেসব। সবকিছু হাতে পেলেই তফসিল ঘোষণা করতে পারবো আমরা।’
মেজবাহ উদ্দিন আরো বলেন,‘আজকের (শনিবারের) সভায় বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি তা ভয়াবহ! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুনিয়াব্যাপী নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয়, সামাজিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধসহ সব ধরণের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এসব বিষয় আমাদের মাথায় আছে। সেই প্রেক্ষিতে কোনো সমস্যা হলে সেটা দেখার দায়িত্ব বাফুফের নির্বাহী কমিটির। আমরা তখন নির্বাহী কমিটিকে বলবো সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অগ্রসর হতে। তারাই তখন সিদ্ধান্ত নেবে।’
ভোটের দিন কেন্দ্রে ব্যাপক জনসমাগম হবে। নির্বাচন কমিশন তাই সতর্ক। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ প্রসঙ্গে বলেন,‘ভোট করতে হলে বাফুফের কংগ্রেস ডাকতে হবে। সেটা বড়সড় সভা। সুতরাং সারাদেশ থেকে মানুষ এনে করোনাভাইরাসকে সারাদেশে ছড়ানোর মতো অবস্থা এখন নেই। সরকার সেটা বোঝেন। যেখানে সরকার সারাদেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। আমরাও এই আইনের বাইরে নই। ভোট হবে, তবে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে যেন তা না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখবে বাফুফে। এটা আমাদের বিশ্বাস।’
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন,‘বাফুফে চলতে চায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। ২০ এপ্রিলের নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী কর্মকান্ড চলবে। এখন পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে বাফুফে ভবনে নির্বাচন করার। তবে প্রয়োজন হলে আমরা ভেন্যু পরিবর্তন করতে পারি। সেটা বড় কোনো হোটেল কিংবা বাফুফের টার্ফে হতে পারে। যাই হোক না কেন. ফিফা-এএফসির সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা নির্বাচনের আয়োজন করবো। এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।’
তবে যে যাই বলুক না কেনো করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে বাফুফে নির্বাচনের কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তি সংগত? এমন প্রশ্ন দেশের ফুটবলবোদ্ধাদের। তাদের মতে, যেখানে বাংলাদেশ রয়েছে করোনা ঝুঁকির মধ্যে। সেখানে ফিফা-এএফসির সঙ্গে আলোচনা করে বাফুফে নির্বাচন পিছিয়ে দিলে কি এমন ক্ষতি হবে! ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। যাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। দেশে করোনাভাইরাস নিয়ে ভীতিকর এমন পরিস্থিতির মধ্যেও নির্বাচনের ব্যাপারে বাফুফের বর্তমান অবস্থান নিয়ে তাই সমালোচনামুখর ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।