নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল লিভারপুল। দারুণ ফিনিশিংয়ে সমতা ফেরান মার্কোস লরেন্তে। পরে দলকে এগিয়ে নেন আলভারো মোতারা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পৌঁছায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে। ফিরতি লেগের রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষ হয়েছে ৩-২ ব্যবধানে। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জেতা অ্যাটলেটিকো ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় গেছে পরের ধাপে। শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
গতপরশু রাতে অ্যানফিল্ডে শুরুতে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় লিভারপুল। চতুর্দশ মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগটি পায় স্বাগতিকরা। অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের শট ফিরিয়ে দেন ওবলাক। ৩৪তম মিনিটে আবার ঠেকিয়ে দেন সাদিও মানের শট। এর দু মিনিট পর প্রায় এগিয়ে যাচ্ছিল লিভারপুল। এবার খুব কাছ থেকে নেয়া রবের্তো ফিরমিনোর শট ফিরিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো কিপার। ৪৩তম মিনিটে আর পারেননি। চেম্বারলেইনের ক্রসে অরক্ষিত জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম হেড জড়ায় জালে।
৬৩তম মিনিটে পর আবার দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে সেই চেম্বারলেইনের দূরপাল্লার শট ব্যর্থ করে দেন ওবলাক। সুযোগ আসে পরেও। ডি বক্স থেকে মানের দুটি বাইসাইকেল কিক থাকেনি লক্ষ্যে। যোগ করা সময়ে ফ্রি কিক থেকে হেডে বল জালে পাঠিয়েছিলেন সাউল নিগেস। তিনি অফসাইডে থাকায় গোল হয়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
৯৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ফিরমিনো। ভেইনালডামের ক্রসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের হেড পোস্টে লেগে ফিরে। ফিরতি বলে খুব কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন তিনি। তিন মিনিট পরেই ব্যবধান কমায় অ্যাটলেটিকো। বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন লিভারপুল কিপার। তার শট থেকে বল ফেলিক্স খুঁজে নেন মার্কোস লরেন্তেকে। কিছুটা এগিয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন এই বদলি খেলোয়াড়। তখনও আর এক গোল পেলেই শেষ আটে যেত গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময় আবার জালে বল পাঠিয়ে লিভারপুলের কাজটা অনেক কঠিন করে তোলেন লরেন্তে।
আলভারো মোরাতার কাছ থেকে যখন এই মিডফিল্ডার বল পান তখন আশেপাশে কেউ নেই। তিন খেলোয়াড় ছুটে আসেন তাকে ঠেকাতে। তাদের এড়িয়ে বার ঘেঁষে খুঁজে নেন ঠিকানা। ম্যাচে আসে ২-২ সমতা। ম্যাচের শেষ সময়ে প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন মোরাতা।
একই রাতে করোনাভাইরাসের শঙ্কায় দর্শকবিহীন মাঠে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় সেরা আটে উঠেছে টমাস টুখেলের দল। পিএসজির গ্যালারির দৃশ্য অচেনা হলেও নেইমার, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা মেলে ধরলেন চেনা পারফরম্যান্সের পসরা। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল পিএসজি। ঘরের মাঠে ২৫তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে এডিনসন কাভানির দূরের পোস্টে নেওয়া শট শেষ মুহূর্তে পা ছুঁইয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। কর্নার থেকে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে ২-১ গোলে হেরে আসা পিএসজি। তিন মিনিট পর কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা। ডান দিক থেকে দি মারিয়ার কর্নারে ডাইভিং হেডে জাল খুঁজে নেন নেইমার। প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে হারের ঘাটতি পুষিয়ে সমতায় ফেরার সঙ্গে অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে এগিয়েও যায় পিএসজি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পাবলো সারাবিয়া দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে কিছুটা শট আবার কিছু ক্রস মতো করেছিলেন; লেফট ব্যাক হুয়ান বের্নাত আলতে টোকায় বল ঠিকানায় পৌঁছে পিএসজির কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেন। ৫৪তম মিনিটে দি মারিয়ার বাঁ পায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান বাড়েনি। ৭০তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের প্রচেষ্টাও লক্ষ্যভ্রষ্ট। পাঁচ মিনিট পর এমরে কানও পারেননি ডর্টমুন্ডকে কাঙিক্ষত গোল এনে দিতে।
৮৯তম মিনিটে কান লালকার্ড দেখলে ডর্টমুন্ডের ম্যাচ ফেরার পথ আরও কঠিন হয়ে যায়। আক্রমণে ওঠা নেইমারকে পেছন থেকে ফাউল করার পর জার্মান এই মিডফিল্ডার ব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে নেইমারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। দুই পক্ষের খেলোয়াড়রাও জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে। এই ঘটনায় নেইমার, মার্কিনিয়োস ও ৭৯তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে গ্যালারিতে বসে থাকা ডি মারিয়াকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
এক নজরে ফল
লিভারপুল ৩-২ অ্যাট.মাদ্রিদ
অগ্রগামিতা ৪-২
পিএসজি ২-০ ডর্টমুন্ড
অগ্রগামিতা ৩-২
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।