রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বরযাত্রীবাহী নৌকা ডুবির ঘটনায় অন্তত ১৭ জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনো কনেসহ বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নৌকাডুবিতে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া বোরখা পরা অপর এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বর্ণিল উৎসবের রেশ না কাটতে না কাটতেই শুরু হলো শোকের মাতম! এ ঘটনায় বর আসাদুজ্জামান রুমনকে (২৫) উদ্ধার করা হলেও কনে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। কনেসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের খোঁজে নদীর তীরে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে খুঁজে বেরাচ্ছেন বর।
নিহতরা হচ্ছে- কনে সুইটির মামাতো বোন রোশনি (৭) ও রতনের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৮)। অপর নারীর নাম এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ডুবে যাওয়ার সময় ওই নৌকায় বর-কনেসহ প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল।
কনে রুমি খাতুন বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। বালুবাহী ট্রলারের সহায়তায় ১৪ জন প্রাণে বেচে যান।
উদ্ধারকৃতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই সাঁতরে নদীর পারে গিয়ে উঠেন।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, পদ্মার চর খানপুর থেকে বিয়ে করে কনেসহ বরযাত্রীবাহী একটি নৌকা রাজশাহী নগরীতে ফিরছিল। এই সময় যাত্রীসহ শ্রীরামপুর এলাকায় নৌকাটি ডুবে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও বিজিবি স্পিডবোট নিয়ে ঘটনাস্থলে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।