Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটে সড়ক দূর্ঘটনায় না’গঞ্জের ১৫ জনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২০, ৫:৫৬ পিএম

ফতুল্লার পাগলা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-৫৪৬২) মহাসড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৪জন। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে ছয় জনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন— , আব্বাস উদ্দিন (৫৫), তার ছেলে রাব্বী (২০), ছেলে ইমন (১৫), তারা পাগলা মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা, মো: খলিলুর রহমান(২৫), পিতা মৃত আব্দুল গনি তালুকদার মুসলিমপাড়া, সুমনা আকক্তার (৩৫), পিতা মৃত গিয়াসউদ্দিন পাগলার ইমরান (১৬) পিতা তোতা খান পাগলা কুসুম বাগ, হাজী মহসিন (৭০), রাজিব (২৫) পিতা আবুল হোসেন কুসুমবাগ, আসমা বেগম (২৫) স্বামী মজিবুর রহমান ঢাকার মতিছিলের বাসিন্দা, সে আইএফআইসি ব্যাংকের গাড়ি চালক। পুলিশ জানিয়েছে, তারা একে অন্যের আত্মীয়। আহতরা হলেন, আবুল হোসেন (৫৫), রফিক(৪০),নাদিম (৩৫), ও খাদিজা (৪)।

জানা গেছে,ফতুল্লার পাগলা কুতুবপুর এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে চড়ে সিলেট যাচ্ছিলেন তারা। তারা সকলেই মুসলিমপাড়া ও কুসুমবাগ এলাকায় বসবাস করে।শুক্রবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিগাঁও এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান গনমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গনমাধ্যমকে বলেন, সিলেটমুখী মাইক্রোবাসটিতে মোট ১২ জন ছিলেন। কান্দিগাঁও এলাকায় পৌঁছে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং মহাসড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নারী ও শিশুসহ আট জন নিহত হন। আহত হন চার জন। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কজনক।

অপর দূর্ঘটনাটি ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় । রওনা দিয়েছিলেন সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত করবেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে মাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তারা। কিন্তু সেই যাত্রা মাঝপথেই থেমে গেছে। রাত আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
বিজয়নগর উপজেলার ভাটি-কালিসীমা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাইক্রোবাসটির (ঢাকা মেট্রো- চ ১১৩৮৬৭) সঙ্গে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ঢাকাগামী লিমন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা মেট্রো- ব ১৫০৪৮৭) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজের কারণে গ্যাস বের হয়ে আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে আগুন।

এ সময় ভেতরে থাকা আরোহীরা বাঁচার জন্য আর্তনাদ করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অঙ্গার হয়ে যান শাকিল (২৫), সোহান (২০), সাগর (২২), ইমন (১৯), রিফাত (১৬) ও হারুণ (৪০)।এ ঘটনায় আহত হন শাহীন (৩০), জিসান (২৪), আবির (১৯) ও বিজয় (১৯)। তাদেরকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত ও আহতদের বাড়ি বন্দর উপজেলার দেউলি গ্রামে বলে জানা যায়।

দুর্ঘটনায় আহত জিসান জানান, তিনি ও তার বন্ধু সাগর একসঙ্গে বসেছিলেন। বাসের সঙ্গে তাদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার পর তিনি মাইক্রোবাস থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। সাগরসহ অন্য আরোহীরা মাইক্রোবাসের ভেতরই ছিলেন। সাগর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

দুর্ঘটনায় বাসটিও মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। তবে বাসের কোনো যাত্রী তেমন আহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাইক্রোবাসটিতে আগুন জ্বলতে থাকার সময় ভেতরে থাকা আরোহীরা সাহায্যের জন্য আকুতি জানালেও আগুনের ভয়ে কেউই এগিয়ে আসেনি।

আগুন নেভার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এক এক করে পাঁচজনের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ বের করেন মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে। আর জীবিত উদ্ধার হওয়া পাঁচজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন মারা যান।খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রেমধন মজুমদার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কিছু সময়ের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে আসি।

অনেককে সাহায্যের জন্য ডেকেছি। কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারণে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। যদি এগিয়ে আসত তাহলে হয়তো জীবিত উদ্ধার করা যেত। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানোর পর মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে হতাহতদের বের করা হয়।

খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অন্তত ২৯টি বাক রয়েছে। পাশাপাশি চালকের কোনও ত্রæটি ছিল কিনা তারও তদন্ত চলছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল ফায়ার সার্ভিস অফিসের স্টেশন অফিসার এসএম শামীম জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের আগুন নেভান। পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাসটিতে তল্লাশি চালান।

মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই মাইক্রোটিতে আগুন ধরে যায়।সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত করবেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে মাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তারা। কিন্তু সেই যাত্রা মাঝপথেই থেমে গেছে। রাত আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।

বিজয়নগর উপজেলার ভাটি-কালিসীমা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাইক্রোবাসটির (ঢাকা মেট্রো- চ ১১৩৮৬৭) সঙ্গে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ঢাকাগামী লিমন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা মেট্রো- ব ১৫০৪৮৭) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজের কারণে গ্যাস বের হয়ে আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে আগুন।এ সময় ভেতরে থাকা আরোহীরা বাঁচার জন্য আর্তনাদ করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অঙ্গার হয়ে যান শাকিল (২৫), সোহান (২০), সাগর (২২), ইমন (১৯), রিফাত (১৬) ও হারুণ (৪০)।
এ ঘটনায় আহত হন শাহীন (৩০), জিসান (২৪), আবির (১৯) ও বিজয় (১৯)। তাদেরকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত ও আহতদের বাড়ি বন্দর উপজেলার দেউলি গ্রামে বলে জানা যায়।

দুর্ঘটনায় আহত জিসান জানান, তিনি ও তার বন্ধু সাগর একসঙ্গে বসেছিলেন। বাসের সঙ্গে তাদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার পর তিনি মাইক্রোবাস থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। সাগরসহ অন্য আরোহীরা মাইক্রোবাসের ভেতরই ছিলেন। সাগর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

দুর্ঘটনায় বাসটিও মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। তবে বাসের কোনো যাত্রী তেমন আহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাইক্রোবাসটিতে আগুন জ্বলতে থাকার সময় ভেতরে থাকা আরোহীরা সাহায্যের জন্য আকুতি জানালেও আগুনের ভয়ে কেউই এগিয়ে আসেনি।

আগুন নেভার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এক এক করে পাঁচজনের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ বের করেন মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে। আর জীবিত উদ্ধার হওয়া পাঁচজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন মারা যান।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রেমধন মজুমদার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কিছু সময়ের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। অনেককে সাহায্যের জন্য ডেকেছি। কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারণে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। যদি এগিয়ে আসত তাহলে হয়তো জীবিত উদ্ধার করা যেত।
পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানোর পর মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে হতাহতদের বের করা হয়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অন্তত ২৯টি বাক রয়েছে। এই বাকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি চালকের কোনও ত্রæটি ছিল কিনা তারও তদন্ত চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল ফায়ার সার্ভিস অফিসের স্টেশন অফিসার এসএম শামীম জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের আগুন নেভান। পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাসটিতে তল্লাশি চালান। মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই মাইক্রোটিতে আগুন ধরে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ