Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লুট হচ্ছে পদ্মাচরের মাটি

মুনীরুল ইসলাম, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে পদ্মা চরের মাটি লুট করার অভিযোগ উঠেছে। ওই চরের বিভিন্ন স্থান থেকে ফসলি জমির মাটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাটি কেটে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। প্রতিদিন ওই স্থান থেকে প্রায় দুইশ’ ট্রলি মাটি কাটা হচ্ছে। কামারগাঁও এলাকার হারুন খানের ছেলে মো. দিপু খানের (৪৫) নেতৃত্বে তার ছোট ভাই রকি খান (৩০), ওই এলাকার মাসাদুর (৪০)সহ বেশ কয়েক জনের একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন কৌশলে নানা অজুহাতে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে এতোদিন চরের মাটি লুট করে আসেছে। চরে মাটি কেটে প্রায় ১৫-২০ ফুট গভীর করা হচ্ছে। এতে করে সমতল চরের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অনেক পুকুর বা দিঘীতে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে দ্বিপু খান বলেন, উপজেলা পরিষদের ইউএনও অফিস থেকে মাটি কাটার অনুমতি এনেছেন। তাই তিনি মাটি কাটছেন। তিনি আরও বলেন, চরে তার নিজের জমি আছে। জমির খাজনা সব পরিশোধ করা রয়েছে। মাটি কাটবোই আপনারা লেখালেখি করে যা পারেন করেন। দ্বিপুর ছোট ভাই রকি খান দাবি করে বলেন, এই জায়গা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। তাদের মাটি কাটার অনুমতি আছে। চরের মাটি কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত কোনো ছাড়পত্র বা অর্ডার আছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি কোনো সুদত্তর দিতে পারেনি। আরেক ব্যক্তি মাসাদুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দ্বিপু খানের বরাত দিয়ে সটকে পড়েন।
কয়েকজন শ্রমিকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দৈনিক ট্রলি প্রতি ৮-১০টি করে টিপ দেন তারা। এক ট্রলি মাটি কাটতে কয়েকজনের ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। ট্রলির মালিক প্রতি ট্রলি মাটির জন্য পান ২৫০-৩০০ টাকা।
এক একটি ট্রলিতে ৪-৭ জন করে শ্রমিক রয়েছে। মাটির সিন্ডিকেট মহল পায় ট্রলি প্রতি ১০০ টাকা। ছোট এক ট্রলি মাটির দাম পড়ে ৫০০ টাকা। বড় এক ট্রলি মাটির বিক্রি হয় ৭০০-১০০০ টাকা। দুরত্ব ভেদে এর দাম আরো বেশি হতে পারে। এই মাটি বিক্রির জন্য আলাদাভাবে লোক রয়েছে। তারাও কমিশনে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে মাটি বিক্রির কাজ করেন। মূলত প্রভাবশালী জমির দাবিদার, ট্রলির মালিক ও শ্রমিকরা মিলে একটি পুরো সিন্ডিকেট।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মদ রহিমা বলেন, খাল বা চরের মাটি কাটার অনুমোতি দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি এখনই লোক পাঠাচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদ্মা

১১ জানুয়ারি, ২০২৩
৩১ অক্টোবর, ২০২২
৪ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ