গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাইকোর্ট মোড় এলাকায় বালির ট্রাক থেকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। আকটকৃতদের কোর্টে চালান করা হয়েছে এবং এদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪ টায় হাইকোট মোড়ের সপানির পাম্পের সামনে থেকে তাদের আটক করে শাহবাগ থানায় আনা হয়। আটকৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের তৃথীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আল আমিন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই বর্ষের জুবায়ের আহমেদ শান্ত। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র এবং হল ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
অভিযুক্ত শান্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের ও আর আল আমিন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্রের অনুসারী। আটকতদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ট্রাকের সুপার ভাইজার মো. সোহেল রানা। মামলার নম্বর ৩৩।
ট্রাকের চালক মো. কাইসার বলেন, শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ট্রাকে করে ঢাকা ওয়াসার বালু নিয়ে দয়াগঞ্জ থেকে তিনি শাহবাগ আসছিলেন। হাইকোট মোড়ে আসার পর গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গেলে রাস্তার এক পাশে পার্কিং করে রাখি। এমন সময় দুইজন লোক এসে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায় এবং দশ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা নাই বলতেই আমাকে চড়-থাপ্পর মারতে শুরু করে। পরবর্তীতে আমার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে গাড়ির সুপার ভাইজারকে আসতে বলেন।
সুপার ভাইজার মো. সোহেল রানা জানান, বালুর গাড়ি আটক করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়ার সাথে সাথে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বক আমার রকেট থেকে ১৯৫০ টাকা নিয়ে যায় এবং সাথে সাথে ম্যাসেজ ডিলেট করে দেয়। পরে টহলরত পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্তনাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।