Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনী ব্যবস্থায় ভোটারদের আস্থা কমছে কেন

তৈমূর আলম খন্দকার | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

পয়লা ফেব্রুয়ারি রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। ইভিএম নিয়ে জোরালো আপত্তি উঠলে শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছিলেন, সব রাজনৈতিক দল না চাইলে ইভিএম চালু করা হবে না। কিন্তু বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রবল আপত্তি থাকা সত্তে¡ও ইভিএমে দুই সিটি নির্বাচন হয়ে গেল। যতদূর জানা যায়, এক দিকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বেশ কিছু দেশ নিজেদের দূরে রেখেছে ইভিএম ব্যবস্থা থেকে; অন্য দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও এশিয়ার অল্প কিছু দেশ ইভিএমের প্রশ্নে আগ্রহ প্রদর্শন করছে। একটি সমীক্ষা মতে, বিশ্বের ৩১টি দেশ ইভিএম ব্যবহার করেছে বা করছে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে, কিংবা এ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে বা চালাচ্ছে। মাত্র চারটি রাষ্ট্র তাদের সারা দেশে ইভিএম ব্যবস্থা চালু করেছে, ১১টি দেশ আংশিকভাবে অথবা ছোট ছোট নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করছে, পাঁচটি দেশ তা ব্যবহার করছে পাইলট প্রকল্প হিসেব, তিনটি দেশ তা চালু করে পরে বন্ধ করে দিয়েছে। আর ১১টি দেশে ইভিএম পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু করে, পরে তা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পর্যালোচনা থেকে দেখা যায়, বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে।

সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন অভিযোগের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় হতাশা সৃষ্টি হয়েছে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে। উভয় সিটিতে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ, অথচ দুই প্রতিদ্ব›দ্বী বড় দলের প্রার্থীদের বাক্সে ভোট পড়েছে মাত্র ১২,৪২,৭৪৫টি। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১,৩১৮টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ৪,৪৭,১১১টি, বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন ২,৬৪,১৬১টি ভোট। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ৪,২৪,৫৯৫টি এবং বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন ২,৩৬,৫১২টি ভোট। অর্থাৎ উভয় সিটিতে গড়ে মাত্র ২৭.১৫% ভোটার উপস্থিত হয়েছেন। উত্তর সিটিতে ভোটার উপস্থিতি ছিল ২৫.৩০% এবং দক্ষিণ সিটিতে ২৯.০০২%। ২০১৫ সালের নির্বাচনে উত্তর সিটিতে ৩৭.৩০% এবং দক্ষিণে ৪৮.৪০% ভোটার উপস্থিত ছিলেন। এ থেকে দেখা যায়, আগের তুলনায় ভোটারদের ভোটের প্রতি আস্থা উদ্বেগজনক হারে কমেছে ভোটারদের নিরাপত্তা কিংবা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাহীনতাই কি এর মূল কারণ?

ভোটার উপস্থিতি হতাশাজনক হওয়ায় সিইসি মন্তব্য করেছেন, ‘ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত করার দায়িত্ব আমাদের নয়, এ দায়িত্ব প্রার্থীদের।’ তার এ মন্তব্য কি গ্রহণযোগ্য? না কি ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ? তাও জনগণের বিবেকের মাপকাঠিতে পর্যালোচিত হচ্ছে। সাক্ষাৎকারে কাজের বুয়া বা লেখাপড়া না জানা মহিলারা টেলিভিশনে বলেছেন, ভোটদানে তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি। অথচ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আঙ্গুলের ছাপ মেলেনি ইভিএমের সাথে। প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে বিলম্ব হয়।’ ইভিএম প্রয়োগের আলোচনা-সমালোচনা ছাপিয়ে এখন ভোটার উপস্থিতি কম কেন হলো, এ নিয়েই চিন্তাশীল মহলে আলোচনা চলছে।

এর আগেও দেখা গেছে, দেশের কোথাও কোথাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করেও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা যায়নি। সিটি নির্বাচনে কামরাঙ্গীরচরে মাইকিং করার পরও ভোটাররা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। এমন অনেক কেন্দ্র রয়েছে যেখানে কেন্দ্রে কোনো ভোটার যায়নি। বিগত জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারদের অনুপস্থিতি ছাড়াও আগের রাতেই সিল মারার ঘটনা, অধিকন্তু গায়েবি মোকদ্দমা, প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা ও গ্রেফতার প্রভৃতি ঘটেছিল। ঢাকা সিটি নির্বাচনে অনুরূপ প্রকট অভিযোগ না থাকলেও নানা অনিয়ম, কেন্দ্রে বুথের ভেতর জোরপূর্বক ভোট দিয়ে দেয়া, জোরজবরদস্তিসহ ধানের শীষের এজেন্টকে বের করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে শাসক দলের কণ্ঠ একটু নিচে নেমে এসেছে। বোদ্ধারা মনে করেন, ভোটাররা কেন ভোটদানে উৎসাহ হারিয়েছে, এ জন্য গবেষণা হওয়া জরুরি। সরকারি দলের প্রার্থী ও নেতাদের বক্তব্যে প্রকাশ পাচ্ছে, যেহেতু দেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে, এ জন্য ভোটারদের উপস্থিতি কম। এ মন্তব্য ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার’ নামান্তর মাত্র। নির্বাচনের দিন প্রধানমন্ত্রীর আহবান থাকা সত্তে্বও ভোটার উপস্থিতি কেন আশানুরূপ হলো না, তার একটি সরকারি ব্যাখ্যা জাতি প্রত্যাশা করে। পরীক্ষায় ৩৩% নাম্বার না পেলে তৃতীয় শ্রেণীর পাস মেলে না। তাই ২৭.১৫% ভোটারের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কিভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? ৫০% ভোটার নির্বাচনে অংশ না নিলে সে ভোট কি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারে?

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দল বলছে, ইভিএম নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপির অভিযোগ এবং ছুটি থাকার কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যখন বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে, তখন অপরাধ হয় না; বরং বিএনপি কোনো বিষয়ে অভিযোগ উপস্থাপন করলে সেখানে (সরকারি দলের মতে) দেশের জাত নাকি চলে যায়(!)। এ সব বক্তব্য রাজনীতি মেধাশূন্য হওয়ার বহিঃপ্রকাশ।

রাজনৈতিক দলগুলোতে রাজনীতির অনুশীলনের পরিবর্তে পাল্টাপাল্টির প্রতিযোগিতা হয় বিধায় রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দল এখন ব্যবসায়িক কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে, যেখানে কর্মী হিসেবে নয় বরং কর্মচারী হিসেবে অবদান রাখতে হচ্ছে; যার মূল্যায়ন করা হচ্ছে চামচাগিরিতে কে কতটুকু এগিয়ে। জনগণের চাহিদার সাথে এ সংস্কৃতির কোনো সামঞ্জস্য নেই। বিগত জাতীয় নির্বাচনের মতো ঢাকা সিটি নির্বাচনে এবার গায়েবি মোকদ্দমার গায়েবি প্রকোপ না থাকলেও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচনে সমতল মাঠের অভিযোগ বা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার অভিযোগ কমিশনের কর্তারা খন্ডাতে পারেননি। ভোটের আগে দক্ষিণে সরকারি দলের শো-ডাউনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘এটা উচিত হয়নি।’ অথচ বিএনপি যদি অনুরূপ শো-ডাউন করত তখন তিনি কি এত মিষ্টি ভাষায় মন্তব্য করতেন? সরস্বতী পূজার জন্য নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না করতে কমিশন অনড় ছিল, কিন্তু যখনই আওয়ামী লীগ থেকে তারিখ পরিবর্তনের গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হলো তখনই তারিখ পরিবর্তন হয়ে গেল। এখানে ভোটার ও প্রার্থীদের Balance of conveniance and Inconveneance নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করেনি বা তাদের মতামত নেয়নি। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে সমন্বয়হীনতার মধ্যে ছিল যার প্রমাণ পাওয়া যায় জ্যেষ্ঠ কমিশনারের ২৬ জানুয়ারি প্রদত্ত মন্তব্য। এটা নিম্নরূপ: ‘নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিজের বক্তব্য দেয়ার স্থান সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে উল্লেখ করে জ্যেষ্ঠ কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনো ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই। তিনি বলেন, কমিশন সভায় আমার প্রস্তাব বা সুপারিশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অগৃহীত হয়। আমাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে না দেখে আমার বক্তব্যের বিষয়বস্তুর মেরিটকে বিবেচনায় নেয়া সমীচীন বলে মনে করি। আমার ধারণা, কমিশনের সভায় আমার বক্তব্য দেয়ার স্থান সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করতে চাই। আমাদের কর্মকান্ডে তা দৃশ্যমান হওয়া বাঞ্ছনীয়।’

ঢাকার সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হলো, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি একই বৃন্তের দুটি ফুল। কারণ জাতীয় পার্টি প্রার্থী (দক্ষিণে) দিলেও প্রার্থীর পক্ষে দলীয় কোনো কর্মকান্ড ছিল না। যদি বিএনপি কোনো কারণে নির্বাচন বয়কট করত, তখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে ডামি বানিয়ে সরকার ‘নির্বাচন-নির্বাচন খেলা’য় মেতে উঠত। উল্লেখ্য নির্বাচন-নির্বাচন (জনগণের দৃষ্টিতে) খেলার কারণে জাতীয় সংসদ একদিকে প্রতিদ্ব›িদ্বতাবিহীন ও প্রহসনমূলক তথাকথিত নির্বাচনের ফসল, অন্যদিকে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ সংবলিত দেশের ধনিক শ্রেণীর মিলন মেলার একটি কেন্দ্রস্থল মাত্র।

চুলচেরা হিসাবে দেখা যায়, মাত্র ২৭.১৫% ভোটার ভোট দিয়েছে ঢাকা সিটি নির্বাচনে, যদিও এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকার বোতামে চাপ দিয়ে সবুজ বোতামে টিপ দিয়ে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে দেয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত হয়নি- এটা গোটা মিডিয়ার বক্তব্য। অন্য দিকে সরকারি ঘরানার কোনো কোনো মিডিয়া ২/১টি কেন্দ্রে ফলাও করে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির বার্তা দেয়ার চেষ্টা করলেও জনমনে তা দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছে।

ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব নেয়ার কথা বা গবেষণা করার কথা যাদের, তারা এ মর্মে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। মনে হচ্ছে, তারা দায়িত্ব পালন নয়, বরং শুধু চাকরি করতে এসেছেন। বিগত ইতিহাস এটাই প্রমাণ করে, যার মেরুদন্ড সোজা, যে বিবেকতাড়িত, তাদের সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দেয়া হয় না। কাগজকলমে আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা’ বজায় রেখে চলার ক্ষমতা দেয়া হলেও তা কার্যকর করার জন্য শপথবাক্য পাঠ করিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয় ‘মাজাভাঙা ছাপোষা’ মানুষদেরকে, যারা আজ্ঞাবহ হয়ে কর্তার ইচ্ছায় কর্ম করতে অভ্যস্ত। ফলে নিয়োগ কর্তাকে খুশি রাখতে গিয়ে নিজ অস্তিত্বকে কর্তার মধ্যে বিলীন করে দেন অনেকে। ফলে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করা হয়ে ওঠে না, তাদের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা সীমাবদ্ধ আছে শুধু মুখে মুখে। তাদের প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় মাস গেলে বেতন তোলা, জনগণের অর্থে দামি বাড়ি গাড়ি ব্যবহার করা। জনগণ তাদের সম্মান করুক বা না করুক, পুলিশ দারোগার স্যালুট আছে (!) এটাই মেরুদন্ডহীন ব্যক্তিদের সান্ত¡না। তাদের চক্ষুলজ্জা একটু কম থাকে।

প্রধানমন্ত্রীর আহবানের পর ভোটারের অনুপস্থিতি প্রথমত প্রমাণ করে, জনগণ বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতির ওপর আস্থা হারিয়েছে। এ অনাস্থা নির্বাচন কমিশনের উপরে বর্তায়, যদিও সরকারি দল দাবি করছে যে, ‘বিগত ১০০ বছরে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আর হয়নি’। যারাই সরকার চালান ‘অসত্য’ কথা যেন তাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে পড়ে, ফলে অসহায় জনগণ বিশ্বাস করুক বা না করুক এহেন প্রচারণা চলছে অনবরত। দ্বিতীয়ত: রাজনৈতিক দলগুলো যে মেধাশূন্য হয়ে পড়েছে, ভোটারবিহীন নির্বাচনে তার একটি নমুনা দেখা গেল। রাজনীতি চর্চার বা অনুশীলন বা শিক্ষার স্কুল হলো রাজনৈতিক দল। রাজনীতির চর্চা বা অনুশীলন হয় না রাজনৈতিক দলগুলোতে, বরং দলে এখন কর্মীর চেয়ে কর্মচারীর সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠের চেয়েও বেশি। রাজনীতি শিক্ষার স্কুলগুলোতে যে সংস্কৃতি প্রকাশিত হয়েছে তা হলো, ক্ষমতা থাকলে টেন্ডার বাণিজ্য, আর ক্ষমতায় না থাকলে পদ-পদবির বাণিজ্য। মোট কথা, বাণিজ্য থেমে থাকছে না। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতো রাজনৈতিক দলের এসিআর অর্থাৎ বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন; অর্থাৎ পদ/প্রমোশন নির্ধারিত হয় কর্ম বা মেধার ভিত্তিতে নয়, বরং চামচাগিরির ভিত্তিতে। তৃতীয়ত: ১. ইভিএমের ওপর জনগণের আস্থাহীনতা ২. ভোট দিলে বা না দিলেও প্রশাসন সরকারি দলকে পাস করিয়ে দেয় ৩. ভোটকেন্দ্র দখলের ব্যাপারে সরকারি দলের হুমকির সাথে বিএনপি প্রতি কেন্দ্রে ৫০০ সন্ত্রাসী রাখার (যদিও প্রমাণিত হয়নি) সরকারি দলের কথিত আগাম বার্তা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট ছিল ৪. প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নগ্ন পক্ষপাতিত্ব এবং ৫. বিরোধী দলের পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট হওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা। চতুর্থত: দেশে রাজনীতির চলমান সংস্কৃতি ও নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতাই ভোটকেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য ভোটার অনুপস্থিতির মূল কারণ।
লেখক: কলামিস্ট ও আইনজীবী



 

Show all comments
  • TITAS ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৫৪ এএম says : 0
    দেশের চলমান রাজনীতির সংস্কৃতি ও নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতাই ভোটকেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য ভোটার অনুপস্থিতির মূল কারণ।
    Total Reply(0) Reply
  • ** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:১০ পিএম says : 0
    ভোটার উপস্থি কম? কেনো? তা অনেকে বুঝে, কিন্তু বলেনা,বলতে পারেনা, বললে কথা দোষ হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন