বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ছাড়িয়ে এবার ভোটের মাঠে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সাড়া ফেলেও অবশেষে নির্বাচনে পরাজিত ঘোষিত হয়ে ফলাফল প্রত্যাক্ষান করলেন হিরো আলম।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম ও কাহালু) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে জাসদের একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে (মশাল) ৮৩৪ ভোটে আশরাফুল আলমের পরাজয় হয়।
১৪ দল মনোনীত প্রার্থী (মশাল) ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন হিরো আলম (একতারা) ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়েছেন।
তবে এই ফলাফল ঘোষণার পূর্বেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নির্বাচনী এলাকায় হিরো আলম জিততে চলেছেন বলে হৈচৈ শুরু হয়।
বুধবার রাত ৮টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও নির্বাচন অফিস সুত্রে বগুড়া ৪ সংসদীয় আসনভুক্ত দুই উপজেলার ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। ভোটযুদ্ধে জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙ্গল) ৬ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুড়াল) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৪২ ভোট।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই সংসদীয় শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। এরমধ্যে কাহালুতে ৯০ হাজার ৯৬৩ জন নারী এবং ৮৯ হাজার ৮৮০ জন পুরুষ ভোটার। নন্দীগ্রামে ৭৪ হাজার ৪৭১জন নারী এবং ৭৩ হাজার ১৫৫ জন পুরুষ ভোটার।
এদিকে ভোটের ফলাফল প্রত্যাক্ষান করে হিরো আলম অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভোট কেন্দ্রে তাকে এবং সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। চাকলমা ভোট কেন্দ্রে যাওয়া মাত্রই তাকে বাঁধা দেয় পুলিশ। গত ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও চাকলমা ভোট কেন্দ্রে তার ওপর হামলা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন।
ডুবাতেঘর কেন্দ্রে জাসদ (মশাল) প্রার্থীর লোকজন তাকে দেখেই উত্তেজিত হয় দাবি করে হিরো আলম বলেন, ভোট কেন্দ্রে যেতেই দায়িত্বরত এসআই আব্দুল মতিন আমার লোকজন এবং সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। প্রিজাইডিং অফিসারও উত্তেজিত ছিলেন। নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়েছে সেখানে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। কেন্দ্রে আমাকে ঢুকতে দেয়নি, সাংবাদিকরাও ঢুকতে পারেনি। ওই কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টকে ঢুকতেই দেয়নি। অধিকাংশ কেন্দ্রেই এমন হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু হয়নি। ফলাফল ঘোষণার মাঝেও কারচুপি আছে। এই ফলাফল মানিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।