Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আমি সব খুইয়েছি’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরানি শিক্ষার্থীদের ডিপোর্টেশন-শেষ পর্ব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

উত্তর-পূর্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি সেমিস্টার পড়াশোনা করা সত্তে¡ও অপর ইরানি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহাব দেহঘানি হোসেইন আবাদীকে (২৩) চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। তার বিষয়ে আদালতের নির্দেশ ছিল, ৪৮ ঘন্টা বা পরবর্তী নির্দেষ না আসা পর্যন্ত তাকে বের করে দেয়া যাবে না। অথচ আদালতকে উপেক্ষা করে তাকে বোস্টন থেকে ফ্রান্সের ফ্লাইটে তুলে দেয়া হয়। ১৩ ডিসেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোহাম্মদ এলমিকে আটক করেন দু’জন সিবিপি কর্মকর্তা। তারা তাকে একটি ঘরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন এবং তার ফোন, ব্যাগ, জুতা ও বেল্ট পরীক্ষা করেন। এরপর তাকে ইরানে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। এলমি ইউসি সান্তা বার্বারায় ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করার জন্য যাচ্ছিলেন। তিনি অফিসারদের জানিয়েছিলেন, ইরানে বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি কিছুদিন সেনাবাহিনীর ‘আর্তেশ’ বিভাগে চাকরি করেছিলেন, এটি মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস থেকে আলাদা একটি শাখা। এলমি বলেছিলেন, ‘তারা এমন আচরণ করেছিল যে আমি সন্ত্রাসী’। এ বিষয়ে আমেরিকান ইমিগ্রেশন আইনজীবী অ্যাসনের চেয়ারম্যান মাহসা খানবাবাই বলেন, অক্টোবরের পর থেকে কিছু লোকের বিরুদ্ধে ‘অভিবাসী অভিপ্রায়ে’ যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো ঠিক নয়। তারা গবেষণারত শিক্ষার্থী। সুতরাং সিবিপি কেন তাদের বিরুদ্ধে এই চরম, কঠোর আইন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, আমি জানি না। সূত্র : লস অ্যঞ্জেলেস টাইমস। (সমাপ্ত)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ