Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুলি চালানো ছাত্রের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দিল্লি জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

বৃহস্পতিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাÐব চালানো তরুণের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ আনল দিল্লি পুলিশ। একাদশ শ্রেণির ছাত্র বছর সতেরোর ওই তরুণের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে কিছুদিন আগেই ওই তরুণ একটি দেশি বন্দুক কেনে এবং বন্দুকটি হাতে পাওয়ার পর থেকেই সে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে। এই ঘটনায় যাতে কোনওভাবেই আইনের ফাঁক গলে অভিযুক্ত বাঁচতে না পারে তার জন্যে দিল্লি পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে রোজকার মতোই স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই তরুণ। তার বাড়ি দিল্লি থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার দ‚রে জেওয়ারে। কিন্তু সে স্কুলে না গিয়ে দিল্লিগামী বাসে উঠে পড়ে। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ওই হামলা চালায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ সভা লক্ষ্য করে গুলি চালায় উন্মত্ত ওই তরুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী পড়ুয়াদের দিকে বন্দুক তাক করে সে বলে, ্রএই নে আজাদি’। এরপর সে সৎিয় সত্যি গুলিও চালায়। তাঁকে থামাতে গেলে গুলিতে আহত হন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শাদাম ফারুখ নামের এক পড়ুয়া, তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হামলা চালানোর আগে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিংও করে ওই তরুণ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রামভক্ত গোপাল নামে অভিযুক্ত তরুণের আগের পোস্টগুলি দেখলেই বোঝা যায়, সে অনেক দিন ধরেই মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিল হামলার। পাশাপাশি এর পরিণতি কী হতে পারে সে ব্যাপারেও যথেষ্ট সচেতন ছিল উন্মত্ত তরুণ। ফেসবুকে তার একটি পোস্টে রামভক্ত গোপাল লিখেছে, ‘‘আমার শেষ যাত্রায় আমাকে গেরুয়ায় মুড়িয়ে দিও আর সেøাগান দিও ‘জয় শ্রী রাম’’। আরও একটি পোস্টে সে লেখে, ‘শাহিনবাগ, গেম ওভার’।

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযুক্তকে রেয়াত না করতে। এই ধরণের ঘটনা সমর্থন করে না সরকার, এমনটাও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে ধর্মকে নাগরিক হওয়ার মাপকাঠি করা হয়েছে। যদিও সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে, ২০১৫ এর আগে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসা তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে। কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনম‚লক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে। সূত্র : এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুলি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ