Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উত্তরপূর্বাঞ্চলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে -ভারতীয় সেনা প্রধান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে ঘোষণা দিয়েছেন যে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে যে সব নিয়মিত সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে, আগামী ১৮ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন যে, সেনাবাহিনী এখন ‘কনভেনশনাল যুদ্ধের’ দিকে মনোযোগ দেবে।

নারাভানে বুধবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘উত্তর পূর্বাঞ্চল একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে,সম্প্রতি ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বোরোল্যান্ড (এনডিএফবি) এবং অন্যান্য গ্রুপের ৬০০ সদস্যের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে যেটা ফুটে উঠেছে’।

তিনি বলেন, ‘কিভাবে ১৮ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে এই সব এলাকায় মোতায়েনকৃত সেনা – যারা সিআই/সিটি/অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে - তাদেরকে প্রত্যাহার করে আনা যায়’।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, দুই ব্যাটালিয়ন সেনাকে এরই মধ্যে এইসব কাজ থেকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে আসামে বোরোল্যান্ড নির্বাচনের পর পরবর্তী ধাপের সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। নারাভানে আরও বলেন যে, ‘কনভেনশনাল যুদ্ধে’ মনোযোগ দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর যে লক্ষ্য, সেই দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের দিকে এখন মনোযোগী হবে সেনারা।

কাশ্মীরের জন্য পরিকল্পনা
কাশ্মীরের জন্যও এ ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নারাভানে বলেন, ‘আগে যেমনটা বলেছি, আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো কনভেনশনাল যুদ্ধ এবং সেটাই আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। সিআই/সিটি এগুলো স্বল্পমেয়াদি এবং তাৎক্ষণিক লক্ষ্য। স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যের দিকে নজর দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য আমরা ভুলে যায়নি’।
তিনি বলেন, ‘(পাকিস্তান) সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চেষ্টা চালাচ্ছে। কাশ্মীরকে হারানোর কারণে তারা চাপে আছে এবং সে কারণে তারা নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ঘটনা ঘটাচ্ছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি যখন উন্নতি হচ্ছে, তখন তাদের দিক থেকে বেপরোয়া তৎপরতা বেড়ে গেছে। পাথর নিক্ষেপ, অ্যামবুশ, আইইডি, এ ধরনের ঘটনা কমে এসেছে’।

সেনাবাহিনীর বাজেট
আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০-২১ এর ব্যাপারে নারাভানে বলেন, সেনাবাহিনী তাদের বাজেটের চাহিদার বিষয়টি জানিয়েছে। ‘সরকার সবগুলো বিষয় বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির আলোকে বিবেচনা করবে এবং আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে, দেশকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে আমাদের যে বাজেট প্রয়োজন, সেটা আমরা পাবো’।
তিনি আরও বলেন, ‘বাজেট যা-ই হোক, আমরা আমাদের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া এবং আভিযানিক প্রস্তুতি গ্রহণ অব্যাহত রাখবো’।

সেনাবাহিনী আরও বলেন যে, চীন সীমান্তে ভারসাম্য সৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে যাতে শান্তি নিশ্চিত করা যায়। এই ভারসাম্যটা তৈরি করা হবে বৃহৎ প্রেক্ষাপট থেকে, শুধু সংখ্যার ভিত্তিতে নয়। তিনি আরও বলেন, ‘‌‌‌‍‍‍আমাদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সময় যখন আসবে, তখন কিছু পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমাদেরকে তৈরি থাকতে হবে। আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সূত্র : দ্য প্রিন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সন্ত্রাস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ