নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল পাঁচ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই ছিল সিরিজ বাঁচানোর। তাতো হলই না বরং সফরকারিরা হারল আরও বড় ব্যবধানে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে একপ্রকার ছেলেখেলাই খেলেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। হারিয়েছে ৯ উইকেটের ব্যবধানে। এক মুহুর্তের জন্যও মনে হয়নি, ম্যাচে বাংলাদেশের কোন নিয়ন্ত্রণ আছে। শেষ ম্যাচে কার্যত বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ‘হোয়াইটওয়াশ’-এর লজ্জা এড়ানো। উল্টোদিকে পাকিস্তান চাইবে জয়ের ধারা বজায় রাখতে। তবে দুই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও বাবর আজমের লক্ষ্য একটাই- জয়। আর এই জয়ের জন্য মাহমুদউল্লাহ চান শেষ ম্যাচে দাপুটে খেলা খেলতে। এজন্য রিজার্ভ বেঞ্চের কয়েকজনকেও খেলানোর কথা ভাবছেন তিনি। পাকিস্তান অধিনায়কও চান প্রথম দুই ম্যাচে যারা খেলতে পারেনি, তাদের সুযোগ করে দিতে।
দলের পরাজয়ে পুরো দলের সেই ব্যর্থতার ভিড়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নামটাও থাকছে। দুই ম্যাচে দলের যখন রানের বড় প্রয়োজন ঠিক তখনই ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনিও। তবে সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে নারাজ বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘সিরিজ হেরে আমরা হতাশ। একমাত্র তামিম ছাড়া আমরা আর কেউই ব্যাটিংয়ে মেলে ধরতে পারিনি। এই ম্যাচেও আমাদের ১৫০/১৬০ রানের টার্গেট নিয়েই আমরা চেষ্টাও চালিয়েছিলাম, কিন্তু পাকিস্তানের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমরা ব্যাটিংয়ের শেষটা ভালো করতে পারিনি।’
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। এখন তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটা সিরিজের ফলাফল নির্ণয়ে আর কোনো ভ‚মিকাই রাখবে না। এমন পরিস্থিতিতে সিরিজের শেষ ম্যাচটা নিয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কি-এই প্রশ্নে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘শেষ ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে এখনো আমরা নিশ্চিত না। এমনও হতে পারে রিজার্ভ বেঞ্চের কয়েকজনকে খেলানো হতে পারে। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচটা আমরা দাপুটে ক্রিকেট খেলতে চাই। ম্যাচটা জিততে চাই।’
উল্টোশ্রেতে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই তার অধীনে প্রথম সিরিজ জয়। এই কৃতিত্ব তিনি দিলেন দলের সকলকে। সেই সঙ্গে জানালেন পরের ম্যাচের পরিকল্পনাও, ‘দলের খেলোয়াড়ের পুরো কৃতিত্ব দিতে চাই। বিশেষ করে সিনিয়র সদস্য ও বোলারদের, যারা ম্যাচ জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন। আমাদের দলের বেশিরভাগই তরুণ। তাই এই সিরিজ জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে চাই। শেষ ম্যাচে আমরা নতুন কিছু খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিতে চাই, যারা প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেনি।’
দীর্ঘদিন পর দলে সুযোগ পাওয়া পাকিস্তান দলের সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, ‘সুযোগ পেয়েছি এবং তা কাজে লাগাতে পেরেছি, তাই খুব খুশি। তবে এটাকে প্রত্যাবর্তণ বলতে পারছিনা।’ ভালো পারফরেেন্সর কৃতিত্ব দিলেন দলের সতীর্থ ও বন্ধু শোয়েব মালিককে, ‘ঘরের মাঠে যখন দর্শকদের দিকে তাকালে শুধু দেখা যায় সবুজ আর সবুজ, তখন একটা বাড়তি চাপ থাকবেই। আমরা শেষ কয়েকটা সিরিজে কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কিন্তু বর্তমানে আমরা খুশি। দলে আসার পর থেকেই ভাবনা ছিল পাকিস্তানের জয়কে কেন্দ্র করে। মালিকের (শোয়েব মালিক) সঙ্গেও কথা বলেছি, যে আমার ভালো বন্ধু। সেও ভালো করেছে, তাই আমিও ভালো করতে অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার মাঝে আলোচিত সিরিজে এমন বিবর্ণ অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন রাসেল ডোমিঙ্গে নিজে। বাংলাদেশ কোচের এদিন আরও ভালো উইকেটে আগের দিনের চেয়ে বড় ঘাটতি ছিল তাদের ব্যাটিংয়ে, ‘আজ (গতকাল) অবশ্যই আমরা ২০-২৫ রান কম করেছি। প্রথম দিনের উইকেটের চেয়ে উইকেট ভালো ছিল। খুবই হতাশাজনক। আগের ম্যাচে লড়াই হয়েছিল, আজ (কাল) কিছুই হয়নি। অন্তত ১৫৫ রান করতে পারলে লড়াই করা যেত। তবে এই কারণেই তারা এক নম্বর আর আমরা নয় নম্বর দল।’ নাঈম শেখ, মেহেদী হাসানের মতো তরুণদের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের কোচ হারের কারণ হিসেবে অনভিজ্ঞতাও সামনে আনতে চাইলেন, ‘তবে আমি ওই কথাই বলব, অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপের প্রতিপক্ষ ছিল উঁচু মানের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল। আমরা চেষ্টা করেছি, উন্নতির চেষ্টা করতে হবে। এই দুই ম্যাচের শিক্ষা আমাদের আগামীতে কাজে লাগবে।’
প্রথম দুই ম্যাচের ব্যর্থতাকে ভুলে শেষ ম্যাচটা তাই জয় দিযে রাঙিয়ে রাখার পরিকল্পনাই আঁটছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহদের পরীক্ষা দিতে হবে সেই পুরোনো ভেন্যুতেই। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে, আগামীকাল দুপুর দুইটায় হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।