নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টিম হোটেলকে রূপ দেওয়া হয়েছে প্রায় দুর্গের। বুলেট প্রুফ বাসে নিরাপত্তার বিশাল বহর নিয়ে চলছে যাতায়াত। নিজের মতো চলাফেরার কোনো সুযোগ নেই। এমন নিরাপত্তার জালে হাঁসফাঁস অবস্থায় মাঠের ক্রিকেটে শতভাগ মনোযোগ দেওয়া কঠিন। নিরাপত্তার কড়াকড়িই তো বারবার মনে করিয়ে দেয় শঙ্কার কথা! তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলছেন, দেশ ছাড়ার সময় নিরাপত্তার ভাবনা তারা পেছনে ফেলে এসেছেন।
তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে গতপরশু রাতেই লাহোরে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দলকে বরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় টিম হোটেলে। যথারীতি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে গতকাল দুপুরে সিরিজের ভেন্যু গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে দল। অবস্থাদৃষ্টে দম বন্ধ করা পরিস্থিতি মনে হলেও লাহোরে সিরিজ প‚র্ব সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বললেন, তারা স্বস্তিতেই আছেন। ভাবছেন কেবল ক্রিকেট নিয়ে, ‘বিমানে ওঠার সময়ই আমরা তা (দুর্ভাবনা) ফেলে এসেছি, বাংলাদেশেই রেখে এসেছি। আমরা কেবল পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলা নিয়েই ভাবছি। ভালো পারফর্ম করতে মুখিয়ে আছি আমরা। যখন থেকে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমরা পাকিস্তানে খেলব, তখন থেকে বদ্ধ পরিবেশ নাকি কেমন, সেটা আসলে খুব গুরুত্বপ‚র্ণ নয়। এখানে এসে আমার মনে হয়, ওই ধরনের চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে আসা ভালো। দলের প্রতিটি ক্রিকেটারই ওভাবে চিন্তা করছে। সবাই ভালো ক্রিকেট খেলতে মুখিয়ে আছে।’
পাকিস্তানে যাওয়ার পর থেকে যেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে, তাতে সন্তুষ্ট বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘এমন অভিজ্ঞতা আমার আগে কখনও হয়নি। পাকিস্তান সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দিচ্ছে আমাদের। তাদের সব আয়োজন নিয়ে আমি খুশি।’ অনুশীলন আর ম্যাচের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময় হোটেলেই থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। অনেকটা বন্দীদশা। তবে এটির একটি ইতিবাচক দিকও খুঁজে পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘ইতিবাচক দিকও আছে। টিমমেটদের সঙ্গে অনেক সময় কাটানোর সুযোগ মিলছে। এদিক থেকে ইতিবাচক।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দুই দফায় পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। দুটিই ২০০৮ সালে। খেলেছিলেন ১০টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি। এত বছর পর আবার পাকিস্তানে গিয়ে জানালেন ভালো লাগার কথা, ‘এখানে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। আগেও আমি এখানে এসেছি। পাকিস্তানে মাঠের আবহ দারুণ থাকে। ফিরে ভালো লাগছে। এখন আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’
বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ৩টায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি। ম্যাচ ভেন্যুতে মাত্র এক বেলার অনুশীলনের পরও অধিনায়কের এই সিরিজ জয়ের স্বপ্নের পালে হাওয়া দিচ্ছে তরুণরা। বিশেষকরে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পারফরমারদের নিয়ে গড়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল নিয়ে মাহমুদউল্লাহর অনেক আশা। আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলামের মতো তরুণদের সামর্থ্যে ভরসা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলে অভিজ্ঞতারও কোনো ঘাটতি নেই। পাকিস্তানে সিরিজ জিততে প্রয়োজন ¯্রফে একটা দল হিসেবে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলা, ‘বিপিএল যদি দেখে থাকেন, সেখানে পারফর্ম করা দারুণ এক ঝাঁক তরুণ আছে আমাদের। ওই তরুণদের ওপর আমরা নির্ভর করব। অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও আছে দলে; আমি, সৌম্য, তামিম, মুস্তাফিজ, রুবেল অনেক দিন থেকে খেলছি। আল আমিন, শফিউলরাও। আমার মনে হয়, তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার দারুণ মিশ্রণ আছে আমাদের। এখন প্রয়োজন ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে আমাদের খেলা নিয়ে ভাবা। তাহলে ভালো পারফরম্যান্স সম্ভব।’
বিপিএলে ভালো করে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। নাজমুল হোসেন শান্ত টুর্নামেন্টে একমাত্র স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে করেছেন সেঞ্চুরি। আরও পরিণত হওয়ার আভাস মিলেছে লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে। আন্দ্রে রাসেলের মুগ্ধতা কুড়িয়েছেন আফিফ। সব মিলিয়ে তরুণরাই এবার অধিনায়কের বাজি, ‘এই তরুণরা ঘরোয়া ক্রিকেট ও বিপিএলে পারফর্ম করেছে। তাদের সামনে এটি ভালো সুযোগ নিজেদের মেলে ধরার। আমার ধারণা, এরা সুযোগের জন্য মুখিয়ে আছে।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান
মুখোমুখি বাংলাদেশ পাকিস্তান
১০ ২ ৮
সর্বাধিক ম্যাচ
বাংলাদেশ : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ১০টি
পাকিস্তান : শহিদ আফ্রিদী, ১০টি
অধিনায়ক হিসেবে
বাংলাদেশ : মাশরাফি/আশরাফুল/মুশফিক, ৩টি করে
পাকিস্তান : শহীদ আফ্রিদী, ৪টি
সর্বোচ্চ দলীয়
বাংলাদেশ : ১৭৫/৬, পাল্লেকেলে ২০১২
পাকিস্তান : ২০৩/৫, করাচি ২০০৮
সর্বনি¤œ দলীয়
বাংলাদেশ : ৮৫/৯, ঢাকা ২০১১
পাকিস্তান : ১২৯/৭, ঢাকা ২০১৬
বড় জয়
বাংলাদেশ : ৭ উইকেটে, ঢাকা ২০১৫
পাকিস্তান : ১০২ রানে, করাচি ২০০৮
সর্বাধিক রান
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান, ৯ ম্যাচে ২৯২
পাকিস্তান : মোহাম্মদ হাফিজ, ৮ ম্যাচে ১৯৩
সর্বোচ্চ ইনিংস
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান ৮৪, পাল্লেকেলে ২০১২
পাকিস্তান : আহমেদ শেহজাদ ১১১*, ঢাকা ২০১৪
সর্বাধিক ফিফটি
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান, ৯ ম্যাচে ৩টি
পাকিস্তান : আহমেদ শেহজাদ, ৩ ম্যাচে ২টি
সেরা জুটি
বাংলাদেশ : সাকিব/সাব্বির ১০৫*, ৪র্থ উইকেট
পাকিস্তান : কামরান/সালমান ১৪২, ১ম উইকেট
সর্বাধিক উইকেট
বাংলাদেশ : আব্দুর রাজ্জাক, ৭ ম্যাচে ৭টি
পাকিস্তান : শহিদ আফ্রিদী, ১০ ম্যাচে ১০টি
সেরা বোলিং
বাংলাদেশ : আল-আমিন হোসেন, ৩/২৫
পাকিস্তান : মনসুর আমজাদ, ৩/৩
সর্বাধিক ডিসমিসাল
বাংলাদেশ : মুশফিকুর রহিম, ৯ ম্যাচে ১১টি
পাকিস্তান : কামরান আকমল, ৬ ম্যাচে ৮টি
সর্বাধিক ক্যাচ
বাংলাদেশ : মাহমুদউল্লাহ, ১০ ম্যাচে ৪টি
পাকিস্তান : উমর আকমল, ৬ ম্যাচে ৪টি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।