গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কবিতা প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, আবরারের মত আর কত শিক্ষার্থীকে আমরা হারালে প্রশাসনের বিবেক জাগ্রত হবে। কেন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না! প্রশাসনের কাছে এ নির্যাতনের জবাব চাই। না হয় আমরা ধরে নিব প্রশাসনের হস্তক্ষেপেই ঘটনাগুলো গড়ছে
আজ (২৩ নভেম্বর) বিচারের দাবিতে অবস্থান করা নির্যাতিত শিক্ষার্থী মুকিম চৌধুরীর বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডাকে মানবন্ধনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে তিনটি দাবি উত্থাপন করেন।
দাবি তিনটি হলো:-
১। যারা এ নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও বহিস্কার চাই
২। নিরাপদ ক্যাম্পাসে চাই। যেখানে স্বাধীনভাবে আমরা মত প্রকাশ করতে পারব। আমরা আমাদের মত করে বাঁচতে চাই। ক্যাম্পাসে সে পরিবেশ চাই।
৩। হলে আমরা দাসের মত কারো গোলামী করে থাকতে চাইনা, হলে প্রশাসনিকভাবে সিট চাই।
মানববন্ধনে ঢাবি শিক্ষার্থী ফারজানা মুন্নি বলেন, 'আমরা আবরারের মত আমরা আর কতজনকে হারালে আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে! এ নির্যাতন কি শেষ হবে না? আমরা ক্যাম্পাসে কি কখনো নিরাপদ হবো না? আজকে আমাদের সহপাঠীকে মারছে, আগামীকাল আরেকজনকে মারবে এভাবেই চলতে থাকবে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হয়। প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করি এবং আগামীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে প্রশাসনকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।'
ফুয়াদ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমরা এখানে কারো বিরুদ্ধে কথা বলছি না, যারা এ সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিল তাদের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এসেছি। সত্যিকারের মুজিব আদর্শে যারা বিশ্বাস করে তারা কখনো সন্ত্রাসী হতে পারে না। কিন্তু হলের মধ্যে অমানবিক নির্যাতন করবে একজন শিক্ষার্থীকে সেটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ হতে পারব না।'
নির্যাতিত শিক্ষার্থী মুকিম বলেন, 'প্রক্টরের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ আমার পাশে এসে দাঁড়ায়নি। শুধুমাত্র হল প্রভোস্ট তদন্ত কমিটির কথা আমাকে জানিয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিচার না পাচ্ছি আমি ততক্ষণ রাজুতে অবস্থান করব।'
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৪ শিক্ষার্থী। যথা- ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুকিমুল হক চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানোয়ারুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দিন, আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসার উদ্দিনকে রাতভর নির্যাতন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।