গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন শুরু হয়েছে। বিচারের দাবিতে বুধবার বিকেল থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীর সাথে সংহতি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় মানববন্ধন শুরু করে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২টায় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ১৩টি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সন্তাস বিরোধী ছাত্রঐক্যের কর্মসূচি রয়েছে। প্রক্টরের পদত্যাগসহ ৪দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবেন তারা।
এদিকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলে শিবির সন্দেহে কয়েকজনকে সারারাত অমানুষিকভাবে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। এটি বেআইনী ও সশ্রম কারাদণ্ডযোগ্য কাজ। এটি যারা করেছে সেই ছাত্রলীগের ছেলেদের পুলিশে দেয়া হয়নি। হলের দায়িত্বে থাকা ঢাবি শিক্ষকরা পুলিশে দিয়েছে মার যারা খেযেছে উল্টো তাদের।’
তিনি জানান, শিবির করা বাংলাদেশের আইনে এখনো কোন অপরাধ নয়। বরং শিবির করে এ সন্দেহে কাউকে আটক, তল্লাশী, মারপিট সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডযোগ্য অপরাধ। কাউকে মেরে ফেলা মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধ।
আসিফ নজরুল বলেন, যাদের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে এসব নির্যাতন অবাধে করা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোর দায়িত্বে থাকা সেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারী মামলা করা যাবে। এধরনের মামলার কোন সময়সীমা নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘মনেপ্রাণে তাই আশা করি, যারা অন্যায় মারের শিকার হচ্ছেন তারা শুধু নির্যাতকদের নয়, এদের সমর্থক শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও একদিন মামলা করার সুযোগ পাবেন। ১০-২০ বছর পর হলেও।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।