মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ফোর্সের মালিক ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দারা কিছুদিন আগে এ ঘোষণা দিয়েছে। বিশাল এই ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার কোথায় লুকিয়ে রেখেছে ইরান? অনেকের এই কৌতূহল দূর করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষই।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ এজেন্সি কিছুদিন আগে কয়েকটি গোপন ছবি পোস্ট করে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটের ভান্ডার দেখাতে এসব ছবি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া ইরানের কয়েকটি চ্যানেল মাটির নিচে ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহরের’ ভিডিও প্রকাশ করেছে। এসব ভিডিও দেখে শিউরে উঠবে যে কেউ।
বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, মাটির নিচে টানেলের মধ্যে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সারি সারি ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো বিভিন্ন মডেলের, বিভিন্ন পাল্লার। মাটির নিচে ওই ক্ষেপণাস্ত্র শহরের ব্যবস্থাপনার জন্যও নিয়োজিত রয়েছে সামরিকবাহিনীর সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি ইউরোপের ইরানি শাখা রেডিও ফার্দা কয়েকদিন আগে জানায়, মাটির নিচে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নগরীতে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট মজুদ রয়েছে। হামলার জন্য এগুলো সবসময় প্রস্তুত রাখা হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্র শহরের সত্যিকার অবস্থান কোথায় তা জানা সম্ভব হয়নি।
ধারণা করা হয়, মাটির নিচে ইরানের মোট ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র শহর রয়েছে। ইরানের কর্মকর্তারা জানান, পাঁচ স্তরবিশিষ্ট কংক্রিটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভেতর এসব ক্ষেপণাস্ত্র শহরের অবস্থান। বিভিন্ন পর্বতের ১ হাজার ৬৪০ ফুট নিচে ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারগুলো তৈরি করা হয়েছে। এগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
গত ৬ বছরের চেষ্টায় মাটির নিচে ক্ষেপণাস্ত্র শহর তৈরি করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। শত্রুরা যেন কোনোভাবেই ধ্বংস করতে না পারে সেজন্যই মূলত পর্বতের নিচে এসব ক্ষেপণাস্ত্র শহর তৈরি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।