Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার

শি জিন পিং-অং সান সু চির বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সফর করেছেন শি জিনপিং। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার দায়ে বিশ্বে কোণঠাসা হয়ে পড়া মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন শি জিনপিং ও মিয়ানমারে ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। শনিবার দুই নেতার বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করে এক যৌথ বিবৃতি দেয় চীন ও মিয়ানমার। একই দিনে এক অনুষ্ঠানে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে সু চি বলেন, ‘বিনা বাক্যব্যয়ে পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিবেশী একটি দেশের পাশে দাঁড়াতে হয়’। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বিচার চলছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে। আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা একটি মামলার রায় হবে চলতি সপ্তাহে। এর আগে মিয়ানমারের পাশে থাকার কথা জানাল চীন। দুই দেশের ক‚টনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর প‚র্তি উপলক্ষে এই সফর করছেন শি। সফরে মিয়ানমারের আতিথেয়তার প্রশংসা করেন শি। তিনি বলেন, এই ক‚টনৈতিক সম্পর্কের সুযোগ দুই পক্ষেরই নেওয়া উচিত। দুই পক্ষেরই ভালো প্রতিবেশীর মতো আচরণ অব্যাহত রাখা উচিত। এটা হতে পারে একই নৌকার দুই যাত্রীর মতো। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মানুষ যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, জীবনযাপন করতে পারে এবং তারা যাতে নিজেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারে, সেই জন্য অনুক‚ল পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত। মিয়ানমারে শি জিনপিংয়ের দুই দিনের সফরে দুই দেশের মধ্যে ৩৩টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার মিয়ানমারে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বৈঠকে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। খবর মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর। স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো ম‚লত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের অংশ। এসব চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি কয়েক শ কোটি ডলারের চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর দ্রæত বাস্তবায়নের ব্যাপারে দুই নেতা বৈঠকে সম্মত হয়েছেন। এ ছাড়া চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ভারত মহাসাগরের সংযোগ স্থাপনের জন্য রেললাইন নির্মাণ, মিয়ানমারের সংঘাতকবলিত রাখাইন রাজ্যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ। ওই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত হবে চীন। এ ছাড়া মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে ‘নতুন শহর’ গড়ে তোলার প্রকল্পও রয়েছে। তবে চীনের ৩৬০ কোটি ডলারের বিতর্কিত বাঁধ প্রকল্প নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। প্রকল্পটির কাজ ২০১১ সাল থেকে স্থগিত আছে। ইরাবতী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অঙ্গীকার

২০ জানুয়ারি, ২০২০
২০ ডিসেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ