পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উন্নয়নের পথে একসঙ্গে হেঁটে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সামিট শেষে গত রোববার রাতে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে দুই প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে একে অপরের পাশে থাকারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, দুই নেতা খুব আন্তরিক পরিবেশে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বিপক্ষীয় সকল বিষয় আলোচনায় এসেছে এবং আমরা ভারতের সঙ্গে সব সমস্যা সমাধানে আশাবাদী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বছরের শেষে নয়াদিল্লি সফরের সম্ভাবনা রয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, নরেন্দ্র মোদী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার দৃঢ় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দুই প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলা কার্যকরভাবে কীভাবে করা যেতে পারে তা নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা সন্ত্রাস মোকাবেলায় তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়ে বলেন, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় নেতাসহ সর্বস্তরের জনগণকে এ উদ্যোগে শরিক করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সামাজিক প্রভাবসমূহ ব্যাপকভাবে মোকাবেলার পাশাপাশি ক্ষতিকর এসব প্রভাবের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের বিষয়েও একমত হয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আলোচনা হয়েছে সার্ক নিয়েও। দুই জনই একমত হয়েছেন যে, প্রটোকলের বাইরেও দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে আরও বৈঠক হওয়া উচিত।
সার্কের বিষয়ে কী ধরনের আলাপ হয়েছেÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একমত যে, এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে সার্ক সম্মেলন হওয়ার কোনো অর্থ নেই এবং এ বিষয়ে যে দুই দেশই অভিন্ন মত পোষণ করে, সে ব্যাপারেও দুই প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে সার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও আলাপ হয়নি বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিবের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, তিস্তা চুক্তি নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, তিস্তা নিয়েও কথা হয়েছে। তবে কী আলোচনা হয়েছে তা তিনি বলেননি। কেবল বলেছেন, ‘তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী।’
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম রাজ্য গোয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস-বিমসটেক লিডারস আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে গতকাল সোমবার সকালে দেশে ফিরেছেন। রোববারে শেষ হওয়া দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলনের থিম ছিলÑ ‘ব্রিকস-বিমসটেক : একটি অংশীদারিত্বের সুযোগ’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় বিমান বন্দরে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অভ্যর্থনা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে (ভারতীয় সময়) গোয়া নেভাল বেইজ এয়ারপোর্ট ত্যাগ করে। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর, গোয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আলিনা সালদানহা, গোয়া সরকারের সচিব (কোঅর্ডিনেশন) পদ্মা জেসওয়াল, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার সামিনা নাজ গোয়া বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
গোয়া নেভাল বেইজ এয়ারপোর্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময়ে তার সম্মানে শিল্পীরা স্থানীয় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম প্রদর্শন করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোববার বিমসটেক লিডারস রিট্রটি এবং ব্রিকস-বিমসটেক লিডারস আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী গত রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।