Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাইসিনা মঞ্চে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাফাই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:৪৮ পিএম

ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংস নিয়ে নয়াদিল্লির রাইসিনা সম্মেলনে প্রবল চাপ তৈরি হল তেহরানের উপর। ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ইরান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। সর্বত্রই তাকে বিমান ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এ বিষয়ে তার যুক্তি, আমেরিকার তৈরি করা আতঙ্কের পরিবেশের জন্যই এই ‘অনিচ্ছাকৃত’, ‘ক্ষমাহীন ভুল’টি হয়েছে। তার কথায়, ‘সঙ্কটজনক পরিস্থিতির কারণেই এই দুর্ঘটনা।’

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লীতে উপসাগরীয় পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী এফ এম ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জারিফ। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। মূলত রাইসিনা সংলাপের মঞ্চকে ব্যবহার করে মূলত আমেরিকার উদ্দেশ্যে তোপ দেগেছেন জারিফ। তার কথায়, ‘গোটা ঘটনাটির দায় স্বীকার আমাদের সামরিক বাহিনীর যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। কেন এমন ঘটল? কারণ, তখন সঙ্কট ছিল। সঙ্কটের সময় মানুষ ভুল করে। ক্ষমাহীন ভুল করে। ওই দুর্ঘটনার কারণ আমেরিকার তৈরি করা আতঙ্কের পরিবেশ।’

ইউক্রেনের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকারের পরেই ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। সে সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা, ‘কয়েক দিনের জন্য মিথ্যে বলা হয়েছিল, তাই দেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যদিও আমাদের সামরিক বাহিনী দ্রুতই দায় স্বীকার করেছিল কিন্তু ওই দু’দিনেই ইরানের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কারণ, সরকারের কাছে মানুষের এমন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, যে তারা মনে করছেন দু’দিন আগেই সরকারের তথ্য জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে এই ‘মিথ্যা নিয়ে’ প্রচার শুরু করেছে। জারিফের এই মন্তব্যে নতুন বিতর্কে সূত্রপাত হল বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা। ইরানের কাছে বৃহষ্পতিবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ব্ল্যাকবক্স চেয়ে পাঠিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটার জেনারেলের দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্ল্যাকবক্সটির মাধ্যমে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে সঠিক তদন্ত করা হবে।

ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির হত্যার বিষয়টি তুলে ধরে জারিফ বলেন, ‘আমেরিকার বক্তব্য, সোলেমানি এক জন সন্ত্রাসবাদী। কিন্তু তাকে হত্যার পরে ভারতের ৪৩০টি শহরে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হয়েছে।’ তবে ভারতের কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের বক্তব্য, সোলাইমানি-হত্যার পরে ভারতের কিছু জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ৪৩০টি শহরের হিসেব কোথা থেকে জারিফ পেলেন তা স্পষ্ট নয়। এই নিয়ে ভারতও কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ