মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তেহরানের আজাদি স্কোয়ারে গতকাল ছিল উপচে পড়ছে ভিড়। কারও হাতে প্ল্যাকার্ড, কেউ তুলেছেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। সমাবেশ থেকে আওয়াজ ওঠে, ‘মিথ্যা বোঝাচ্ছেন দেশের নেতারা। তারাই সবচেয়ে বড় শত্রু, আমেরিকা নয়।’ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গতকাল পুলিশ গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার ভুলবশত ইউক্রেনীয়ান বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা তেহরান মেনে নেওয়ার পর থেকেই ক্ষোভের আগুনে যেন ঘি পড়েছে। ইরানের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ।
গতকাল সকালেও আজাদি স্কোয়ারে প্রায় তিন হাজার মানুষ জড়ো হয়ে সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খোমেনির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। সরকারের শীর্ষ আমলাদের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে দফায় দফায়। ইরানের নিউইয়র্ক ভিত্তিক সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস-এ পাঠানো ভিডিও যাচাই করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, আজাদি স্কোয়ারের কাছাকাছি বিক্ষোভকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।। গ্যাস থেকে বাঁচতে অনেককে দৌড়াতে দেখা ফারসিতে এক মহিলার চিৎকার শোনা যায়, ‘তারা লোকদের দিকে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে! স্বৈরশাসকের মৃত্যু চাই!’ অন্য একটি ভিডিও দেখা যায়, রক্তাক্ত এক মহিলাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার চারপাশের লোকেরা চিৎকার করে বলেছে যে, তাকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনার পরে ফটো এবং ভিডিও ফুটজে রাস্তার অনেক জায়গা রক্তে লাল হয়ে থাকতে দেখা যায়। তেহরানের পুলিশ প্রধান জেনারেল হোসেইন রহিমি গুলি চারানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে ইরানের আধাসরকারি সংবাদ মাধ্যম ফার্স নিউজ এজেন্সি বলেছে যে, পুলিশ কিছু কিছু জায়গায় টিয়ার গ্যাস চালিয়েছে।
গত শনিবার তেহরানের আমির কবীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি মিছিল শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই শান্তি মিছিল চরম বিক্ষোভের চেহারা নেয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খোমেনি-সহ সরকারের উচ্চপদস্থ আমলাদের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর পরে রোববারও ইরাকের মাটিতে একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। বাগদাদের উত্তরে আল বালাড নামে ওই ঘাঁটিতে আছড়ে পড়ে চারটি রকেট, যাতে আহত হন চারজন। এই হামলার জন্যও ইরানকে দায়ী করে মার্কিন সেনা। এই হামলার পরে বিক্ষোভ ফের মাথাচাড়া দেয় ইরানে।
ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম স‚ত্রে খবর, শনিবারের মিছিলে যোগ দিয়ে আটক হন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদ‚ত রব ম্যাকেয়ার। বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে তাকে ঘণ্টাখানেক আটক করে রাখে ইরানি প্রশাসন। এই ঘটনাকে ভাল চোখে দেখেনি তেহরানের মানুষজন। কোনও রাষ্ট্রদ‚তকে এভাবে আটক করে রাখার ঘটনা আন্তর্জাতিক ক‚টনীতিতে নজিরবিহিন। রব ম্যাকেয়ারকে আটক করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলেই দাবি তুলেছে ব্রিটেন।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ইরান সরকারকে, ‘মিথ্যুক’, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের দাবি, রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়েই বিমানটিতে পরপর দু’টি রকেট ছোড়া হয়। ভিডিও ফুটেজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রমাণও পাওয়া গেছে। অভিযোগ, বিমানটিতে যেহেতু কানাডার নাগরিকরা ছিলেন তাই জেনেবুঝেই হামলা চালিয়েছে ইরানি সেনাবাহিনী। নিরীহ প্রাণের হত্যা যুদ্ধাপরাধেরই সামিল। সূত্র : ডয়চে ভেলে, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।