Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৮০ সেনা নিহত হয়েছে : ইরান * কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ৯ জানুয়ারি, ২০২০

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে ইরাকে মার্কিন সেনার দু’টি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। গতকাল মার্কিন সেনাবাহিনীকে নিশানা করে প্রায় দুই ডজন মিসাইল ছুঁড়েছে ইরানের সেনাবাহিনী। পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরাকের আইন আল-আসাদ এবং ইরবিল সেনাঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। ওই দুই ঘাঁটিতে ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে আমেরিকার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বাহিনীও। হামলায় ৮০ মার্কিন সেনাকে হত্যা ও ২০০রও বেশি ‘সন্ত্রাসী’কে আহত করার দাবি করেছে ইরান। কমান্ডার কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হামলা বলে সরকারি সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে ইরানি সেনাবাহিনী। তারা আরও দাবি করেছে, আমেরিকা প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করলে আরও কড়া জবাব দেয়া হবে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বুধবার ভোররাতে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো সৈন্য মারা যায়নি, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খুবই সামান্য। গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায় জাতি উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান যদি পারমানবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা বাদ দেয় এবং তার ভাষায়, সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে, তাহলে শান্তি স্থাপনেও তিনি প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা ইরানের আচরণ এতদিন সহ্য করেছি, কিন্তু সে দিন এখন শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ইরান তার আচরণ এবং পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ না করলে আমরা আরো শক্তিশালী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবো। তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইরানের পরমাণু যুদ্ধ করার ক্ষমতা নেই।
ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর বোঝা যাচ্ছে যে, ইরান তার অবস্থান থেকে সরে আসছে। ট্রাম্প বলেন, গত সপ্তাহে আমরা বিশ্বের শীর্ষ এক সন্ত্রাসীকে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা চাই ইরান সংঘাতের পথ পরিহার করে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নজর দেবে। তিনি ন্যাটো সামরিক জোটকে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বেশি মনযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ইরানের পক্ষ থেকে আমেরিকার মূল ভ‚খন্ড, ইসরাইল ও আরব আমিরাতেও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, মার্কিন অপরাধের চ‚ড়ান্ত জবাবে পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পা কেটে দেয়া হবে। হামলার সমর্থনে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জরিফ লিখেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে যে কোনও আগ্রাসনের চেষ্টার কড়া জবাব দেয়া হবে। যে সামরিক ঘাঁটিগুলি থেকে সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছিল, সেখানে আমরা জাতিসংঘের নিয়মাবলী মেনেই হামলা চালিয়েছি’।
এদিকে, ইরানি হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একটি টুইট করেন। টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘অল ইজ ওয়েল। ইরাকের দু’টি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে সব ঠিক আছে। আমাদের সেনা বিশ্বে সবচেয়ে আধুনিক’। পাশাপাশি, ওই অঞ্চলে মার্কিন বিমানগুলির উড্ডয়নও নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যার জবাব হিসাবে এই হামলা করা হয়েছে। তারা এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন শহীদ সোলেইমান’। ইরানের স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে (বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে চারটা) এই হামলা শুরু হয়।
ইরাকের সেনাবাহিনী বলছে, ইরান থেকে ২২টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল। আল-আসাদ ঘাঁটিতে ১৭টি মিসাইল হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি মিসাইল বিস্ফোরিত হয়নি। তবে ইরবিলে যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে তার সবগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজারের মতো সৈন্য রয়েছে ইরাকে। মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল সোলেইমানি নিহত হবার পর ইরাকের পার্লামেন্ট দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্যদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। জবাবে আমেরিকা অবশ্য বলেছিল, ইরাক থেকে সরে যাওয়ার কোন পরিকল্পনাই তাদের নেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই সাথে এও বলেছিলেন যে, ইরাক থেকে যদি মার্কিন সৈন্যদের চলে যেতে হয় তাহলে দেশটির ওপর এমন অবরোধ আরোপ করা হবে, যা ইরাক ‘আগে কখনো দেখেনি’।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ও সহযোগীদের সকল কর্মীকে রক্ষায় দরকারি সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এই মিসাইল হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, ‘ইরাকের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার খবরের ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং তিনি গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন’।
যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভ‚খন্ডেও হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান!
ইরাকে দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের ভ‚খন্ডের ওপর হামলা চালায় তাহলে ইরানও মূল মার্কিন ভ‚খন্ডে হামলা চালাবে। এমনটাই হুমকি দিয়েছে তেহরান। ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ দেশটির ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে তাকে বিশাল জনসমাগমের সামনে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত আমাদের আঘাত করবে। কিন্তু আমরা তাদের আরো বেশি আঘাত করবো।’
গত শুক্রবার ইরানের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। তার বদলা নিতে ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটি- ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। বুধবার ওই দুটি ঘাঁটিতে প্রায় ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানি বাহিনী।
ইরানের এই মিসাইল হামলায় অন্তত ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ২০০ জন আহত হয়েছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে দাবি করা হয়েছে। ইরানের এই হামলার জেরে যদি পাল্টা কোনো হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই এবং ইসরাইলের হাইফাতেও হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরান।
একটি ক্ষেপণাস্ত্রও ঠেকাতে পারলো না যুক্তরাষ্ট্র!
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট, ইরানের ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রও ঠেকাতে পারেনি বলে দাবি করেছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। তাদের দাবি, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রই মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। ইরানের সামরিক শক্তির অন্যতম চাবিকাঠি হিসেবে ধরা হয় দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে। এবার পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটিতে হামলার মাধ্যমে নিজেদের সেই শক্তির জানান দিলো তেহরান।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে হামলার কথা জানায়। ইরানের সমৃদ্ধ ভান্ডারের কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড়; বিশেষ করে স্বল্প আর মাঝারি পাল্লার। এসব ক্ষেপণাস্ত্র অনেক ক্ষেত্রেই সউদী আরব ও উপসাগরীয় এলাকার অনেক ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম। পেন্টাগনের দাবি, গেলে কয়েক বছর ধরেই আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ইরান। সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামরিক শক্তিতে ইরানের অবস্থান ১৪তম। মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির অবস্থান খুবই শক্ত। তাই সামরিক শক্তিতে শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নেয়ার ক্ষমতা আছে ইরানের। তবে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় ইরান নিজেকে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর বিশ্বের চতুর্থ শক্তি বলে দাবি করছে।
ইরানিয়ান বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) কলেজের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা জেনারেল নুরুল্লাহি গত মাসে বলেছিলেন, ইরান প্রতিদিন ২০ হাজার মিসাইল উৎক্ষেপণে সক্ষম। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ২১টি মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র তাক করা আছে। তিনি আরো বলেন, ইরানের সক্ষমতা আসলে আরও অনেক বেশি। যুদ্ধ বেধে গেলে দৈনিক এর চেয়েও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম আমরা। সবচেয়ে বড় শত্রুর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের জন্য ইরান প্রস্তুত।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভার :
সাহাব-১ : ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম।
সাহাব-২ : ৫০০ মাইল দূরের লক্ষ্যে হামলা চালাতে সক্ষম।
কিয়াম-১ : ৭৫০ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা। হামলা চালাতে পারে তুরস্কের লক্ষ্যবস্তুতে।
ফাতেহ-১১০ : অতিক্রম করতে পারে ৩শ’ থেকে ৫শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব।
জোলফাগার : ইরানের অস্ত্রসম্ভারে থাকা এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অতিক্রম করতে পারে ৭শ’ কিলোমিটার দূরত্ব।
সাহাব-৩ : পাড়ি দিতে পারে ২ হাজার কিলোমিটার। এই দূরত্বে রয়েছে রাশিয়া, চীন, মিশর ও ভারতের মতো দেশ।
প্রতিশোধ নেয়ার পক্ষে মত দিলো তুরস্ক!
জেনারেল সোলাইমানি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইরানের প্রতিশোধ নেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ইরানের জেনারেল সোলাইমানি হত্যাকান্ডের বিষয়টিকে উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্ক। তবে আমি মনে করি, যেকোনো দেশের উচ্চ পর্যায়ের কমান্ডারকে হত্যার ঘটনাকে বিনা জবাবে ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না।’
হুংকার নেতানিয়াহুর
ইরানের হামলার আশঙ্কায় আগে থেকেই কঠোর প্রতিশোধের সতর্কতা জানিয়ে হুংকার দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কেউ তার দেশে হামলা চালালে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান। গতকাল ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পরেই জেরুজালেমে তিনি এ কথা বলেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, ইয়েনি শাফাক, আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • Atik Mahamud ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    আমেরিকা যদি জানতো ইরানের সাথে যুদ্ধ করে সহজেই জয় লাভ করবে তাহালে আরো ১০বছর আগেই যুদ্ধ লাগতো আমেরিকা আমেরিকা অনেক বার বলছে আমরা যুদ্ধ চাই না আমরা ইরানিদের সাথে বসে আলোচোনা করতে চাই।আর ইরান নাকচ করে যাই আর ইরান একবারো বলে নাই যে আমরা আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করবো নামে ইরানের জনগন প্রতিদিন আমেরিকার ধংস কামনা করে গত ৯ বছর ইরান প্রবাসি হয়ে দেখছি তা
    Total Reply(0) Reply
  • Md Akram Babu ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    শাষকদের বাড়তি চাহিদার কারনে জীবন দিতে হয় লক্ষ কোটি সেনা'কে, মরতে হয় কোটি কোটি সাধারণ মানুষকে । ট্রাম্পের একটা ঈশারায় জীবন দিতে প্রস্তুত তার সেনারা, যুদ্ধে হারলে ট্রাম্পের সম্মান যাবে কিন্তু সেনা গুলোর জীবন যাবে । কত কোল খালী হয়ে যায়, কত বাবা হারিয়ে যায়, কত মা হারিয়ে যায় । কোন শাষক কী একবার এই চিন্তাটা করে না হুকুম দেবার আগে ?
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel Haque ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    ইরান দেখিয়ে দিল বিশ্বকে তারা শুধু মুখে বলে না কাজেও করে। আমার মনে হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Nazrul Islam ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে সন্ত্রাসী তোকমা দিয়ে নিমিষেই মেরে ফেলল আমেরিকা আর ইরান কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবে ইরান ও পাল্টা সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে এর সামান্য প্রতিশোধ নিলো
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ সোহেল রাড়ি ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৯ এএম says : 0
    ইরানকে স্যালুট এ কারণে যে আমেরিকার ঘাঁটিতে হামলার সাহস দেখিয়েছে যা অন্য কোন মুসলিম দেশ করার সাহস রাখেনা। ইরান যে মোটেও সস্তা পাএ নয় এটা ট্রাম্পের বোঝা উচিত। ঢিল মারলে পাটকেলটা কিন্তু খেতেই হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shah Aziz ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৯ এএম says : 0
    আমেরিকা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই এগিয়েছে । ইরানে আয়াতোল্লাহ বিরোধীরা বসে নেই । এই বিরোধীরাই মূলত ইরানের ক্ষমতা দখল করবে মার্কিনী কোন সেনার ইরান পদচারনা ছাড়াই , এটাই নির্মম সত্য।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ