Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সোলাইমানির লাশবাহী কফিন এখন ইরানের আহভাবে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:০৯ পিএম

মার্কিন হামলায় নিহত আল-কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মরদেহ ইরানে পৌঁছেছে। রোববার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাবে তার কফিন পৌঁছালে তাতে শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে।
ইরানের আহভাজ শহরে এত মানুষ এর আগে কখনো দেখা যায় নি। কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমনির মৃতদেহ ইরানে পৌঁছানোর আগে থেকেই গ্রাম, শহর সর্বত্র শোকের ছায়া বিরাজ করছে। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার খুব সকালে ইরাক থেকে তার মৃতদেহ ইরানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বাধভাঙা ঢল নামে রাজপথে। শোকার্ত এসব মানুষ কালো পোশাক পরা। হাতে ধরেছেন সবুজ, সাদা আর লাল রঙের পতাকা। শহীদের রক্তের রঙকে বুঝানোর জন্য এমন রং ব্যবহার করা হয়েছে।
বাকিদের হাতে নিহত সোলাইমারির পোট্রেট ছবি। মানুষে মানুষে এতটা গাদাগাদি যে তাদের তিল ধারণের ঠাঁই হচ্ছিল না। এতে বলা হয়, আজ রোববার সোলাইমানের মৃতদেহ ইরানে গিয়ে পৌঁছে। সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আহভাজে। এ খবর দিয়েছে ইরানের অনলাইন তেহরান টাইমস।
শহীদের রক্ত আঁকা সবুজ, সাদা ও লাল রঙের পতাকা উত্তোলন করা একটি চত্বরে শোকগ্রস্ত মানুষ জড়ো হয়েছেন। এসময় তাদের বুক চাপড়ে মাতম করতে দেখা গেছে। কারো কারো হাতে নিহত জেনারেলের ছবিও ছিল। -খবর গার্ডিয়ানের
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ঘোষণায় দেখা গেছে, জেনারেল সোলাইমানির জানাজায় অংশ নিতে ব্যাপক মানুষের ঢল নেমেছে। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মানুষের রাস্তায় নেমে এসেছেন। এতে ইরাক-ইরান যুদ্ধে নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।
এরপর তার মরদেহ তেহরানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তার নিজ শহর কেরমানে নিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার তার দাফন হবে।
এদিকে কোনো আমেরিকান কিংবা মার্কিন সম্পদে ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় পাল্টা আঘাত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার একদিন পর তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। এদিকে তাকে হত্যার ঘটনায় শোক জানাতে লাখ লাখ লোক ইরাকের রাস্তায় নেমে এসেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিস।
এতে মধ্যপ্রাচ্যে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘাত নতুন করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। টুইটারে ট্রাম্প বলেন, সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে মার্কিন স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর দুঃসাহসের কথা বলছে ইরান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের ৫২টি স্থাপনাকে হামলার জন্য শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে অনেকগুলো খুবই উচ্চ পর্যায়ের ও গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এসব স্থাপনা তাৎপর্যপূর্ণ। ইরান যদি দ্রæত ও কঠিনভাবে আঘাত হানে তবে এসব স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানাবেন বলে হুশিয়ারি করেছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হুমকির দরকার নেই। এই ৫২ স্থাপনা ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে মার্কিন দূতাবাসে ৪৪৪ দিন জিম্মি থাকা ৫২ মার্কিন নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করছে। তবে এসব স্থাপনার কথা উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবও ইরানের সম্ভাব্য ২৫ লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে। ইরানি বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস কমান্ডার জেনারেল গোলাম আলী আবু হামজাহর উদ্বৃতি দিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ