Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোলাইমান হত্যায় মার্কিন রাজনীতিবিদরাও বিভক্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:০৩ পিএম

ইরানের রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকান্ডে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরাই বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তারা কেউ প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। অন্যরা এর কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যালঘু নেতা, রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহাম, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেট দল থেকে প্রার্থী জো বাইডেন, সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর প্রমুখ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইউরোনিউজ।

এতে বলা হয়, গত শুক্রবার সোলাইমানিকে হত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুদ্ধ শুরু করতে নয়, যুদ্ধ থামাতে ইরানের ওই জেনারেলকে হত্যা করিয়েছেন। এ জন্য যেকোনো জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।

তবে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানে শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তন করাতে চায় না। ট্রাম্পের ভাষায়, অবিলম্বে বড় ধরনের হামলা পরিকল্পনা করছিলেন সোলাইমানি। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনার ভিতরেই তাকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। তিনি অনেক বেশি মার্কিনিকে হত্যা করতে চাইছিলেন। ইরান কখনো স্বীকার করবে না, তবু এর ভিতরে তাকে ঘৃণা করতো এবং ভয় পেতো বিপুল সংখ্যক মানুষ। মাইক পম্পেও-ও বলেছেন, অত্যাসন্ন হামলা পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিতে সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। জন বল্টন এই হত্যাকান্ডে জড়িত সবার প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন।

কিন্তু এমন হত্যাকান্ডে তীব্র বিরোধিতা করেছেন ডেমোক্রেট শিবির থেকে বাঘা বাঘা নেতারা। ডেমোক্রেট জো বাইডেন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত করেছেন সোলাইমান। তাই তার বিচার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বড় রকমের যুদ্ধের ঝুঁকি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের হামলা কমার বদলে, অবশ্যই উৎসাহিত করবে। ট্রাম্প আসলে বারুদভর্তি বাক্সে ডিনামাইটের কাঠির ঘষা দিয়েছেন। সোলাইমানিকে কয়েক শত মার্কিনি সহ হাজার হাজার মানুষ হত্যার জন্য দায়ী করেন এলিজাবেথ ওয়ারেন। তবে তিনি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ককে উত্তেজনাকর অবস্থা নিয়ে যাওয়াকে ট্রাম্পের বেপরোয়া সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করেছেন। এর ফলে আরো অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বা সংঘাত হবে।
কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি ২০১৯ সালের জুনে বলেছিলেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে কোনোই পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন ট্রাম্প তা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে ইরানের সঙ্গে সংঘাতকে ব্যবহার করছেন কিনা ট্রাম্প এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ