Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৬০০ স্থাপনা গুঁড়িয়ে ৫ একর জমি উদ্ধার

চট্টগ্রামে রেলের উচ্ছেদ অভিযান

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নগরীর আকবরশাহ এলাকায় সড়কের দুইপাশে ছয় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে মূল্যবান পাঁচ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা অভিযান পরিচালনা করে পূর্বাঞ্চলীয় রেলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ।
অভিযানে রেলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও নগর পুলিশ, জিআরপি, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৯০ জন সদস্য অভিযানে অংশ নেন। সড়কের দুই পাশে রেলের মূল্যবান এসব জমি দখল করে দোকানপাট ও বসতঘর তৈরি করা হয়। প্রায় ৩৫ বছর ধরে দখলদারেরা এসব ঘর ভাড়া দিয়ে নিয়মিত ভাড়া তুলতো। সড়কের পাশে দোকান আর ভেতরের অংশে ছিলো বসতঘর।
রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবউল কমির ইনকিলাবকে বলেন, ওই এলাকায় সড়কের দুপাশে রেলওয়ের ১০.৬২ একর জমি বেদখল হয়ে গেছে। বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে প্রায় পাঁচ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। বাকি জমি উদ্ধারে আজও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রেলের জমি দখল করে টিনের ঘর তৈরি করা হয়। সড়কের পাশের ঘরগুলোতে বিভিন্ন রকমের দোকান ছিলো। আর ভেতরের অংশে ছিলো বসতঘর। দোকানপাট, বসতঘরসহ সব স্থাপনা ছাউনি ও বেড়া টিনের তৈরি। উচ্ছেদের খবর পেয়ে অনেকে তাদের স্থাপনা আর ঘরের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে। এর আগে রেলওয়ের জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযানের খবর পেয়ে জড়ো হতে থাকেন অবৈধ দখলদাররা। কেউ কেউ নিজেদের জায়গা প্রমাণ করতে কাগজপত্রও সঙ্গে নিয়ে আসেন। তবে কেউ উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেননি। এরপর নিজেদের উদ্যোগেই মালামাল সরাতে শুরু করে। ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবউল করিম বলেন, বিজয়ের মাস হওয়ায় ডিসেম্বরে অভিযান শিথিল করা হয়। তবে এখন পুরোদমে অভিযান চালানো হচ্ছে। রেলওয়ের সম্পূর্ণ জায়গা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। গেল অক্টোবর মাস থেকে রেলের জমি উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হয়। সিআরবি, পূর্ব রেলের জিএম’র বাংলো ও ঐতিহাসিক ভেলুয়া সুন্দরীর দীঘির আশপাশসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধশত একর জমি উদ্ধার করা হয়। তবে রেলের প্রকৌশল বিভাগের অবহেলায় উচ্ছেদকৃত জমি ফের বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নগরীর আমবাগান এলাকায় এমন কিছু স্থাপনা গুঁড়িয়েও দেয়া হয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ