পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা ন্যাশনাল অ্যাকর্ড সরকারের সমর্থনে আগামী মাসেই (জানুয়ারি) দেশটিতে তুর্কি সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে আঙ্কারা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িপ এরদোগান। গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকড্রের (জিএনএ) অনুরোধেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে জিএনএর প্রতিপক্ষ খলিফা হাফতারের বাহিনীর ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রায় উদ্বিগ্ন আঙ্কারা দেশটিতে সৈন্য পাঠানোর এ তোড়জোড় শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জিএনএ-র সঙ্গে তুরস্কের মিত্রতা আছে, অন্যদিকে হাফতারের বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান। লিবিয়ায় এ মেরুকরণ সিরিয়া ইস্যুতে তুরস্কে-রাশিয়ার মৈত্রীতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা অনেক পর্যবেক্ষকের। সিরিয়ায় চলতি বছর তুর্কি অভিযান নিয়েও মস্কোর উদ্বেগ ছিল। লিবিয়া ও সিরিয়া নিয়ে চলতি সপ্তাহে মস্কোতে রুশ ও তুর্কি কর্মকর্তাদের আলাপ-আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ত্রিপোলির জিএনএ সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তুরস্কের সামরিক সহযোগিতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আঙ্কারার এ পদক্ষেপ নিয়ে পূর্ব লিবিয়াভিত্তিক হাফতার বাহিনীর তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। রুশ ও সুদানিজ যোদ্ধা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাঠানো ড্রোন সহযোগিতায় গত কয়েক মাসে তারা রাজধানী দখলের ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে। চীনের বানানো এ ড্রোনগুলো জিএনএর হাতে থাকা তুর্কি ড্রোনগুলোর চেয়ে আটগুণ বেশি ওজনের বিস্ফোরক বহন করতে পারে এবং এগুলো সমগ্র লিবিয়ায় নজরদারি চালাতে পারঙ্গম বলেও নভেম্বরে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল। ওই মাসেই তুরস্ক ফয়েজ আর সিরাজ নেতৃত্বাধীন জিএনএ-র সরকারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের সমুদ্রসীমা নিয়ে দুটি পৃথক চুক্তি করেছে। লিবিয়ায় তুর্কি সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। বৃহস্পতিবার দেশদুটির প্রেসিডেন্টের টেলিফোন আলাপে লিবিয়ায় বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সেনা পাঠানো সংক্রান্ত বিলটি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তুরস্কের পার্লামেন্টে উঠবে বলে অনুমান করা হচ্ছে; সেখানে অনুমোদিত হলে যত দ্রুত সম্ভব সৈন্য পাঠানো হবে, বলেছেন এরদোগান। আঙ্কারার এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়াও। বৃহস্পতিবার লিবিয়া নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জুসেপ্পে কন্তের কথা হয়েছে বলে ক্রেমলিন জানিয়েছে। দুই নেতা লিবিয়া সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন, বলেছে তারা। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।