Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এককালের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত মুসলিম বিদ্বেষী ফ্যাসিবাদের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশ ও ভারত। শুধু দুটি প্রতিবেশী দেশই নয়, দু’ দেশের নেতাদেরই দাবি তারা পরস্পর বন্ধু রাষ্ট্র। তবে বাস্তবতার নিরিখে বিচার করলে বুঝতে পারা যাবে এ দাবি কতটা সঠিক। একদা ভারতের প্রধান পরিচিতি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে। সবাই জানেন, ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে প্রায় পৌনে দু’শত বছর সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের পদানত ছিল। সে এমন এক সময়ের কথা, যখন বলা হতো বৃটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না। বৃটিশ সাম্রাজ্যের অবয়ব তখন এত বিশাল ছিল যে, এর এক অঞ্চলে সূর্য অস্ত গেলেও অন্য কোনো না কোনো অঞ্চলে সূর্য দিব্যি তার আলো ছড়াত।

কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী বৃটেন তার সে সৌভাগ্য দীর্ঘকাল ধরে রাখতে পারেনি। বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম জোরদার হয়ে উঠায় বৃটেনের এককালের পদানত প্রায় সকল দেশই এখন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের স্বতন্ত্র, স্বাধীন সদস্য হিসাবে গৌরবের আসনে আসীন হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার যে তিনটি দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান বর্তমানে স্বতন্ত্র, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে গৌরবের আসনে আসীন, সে তিনটি দেশও একদা সাম্রাজ্যাবাদী বৃটেনের পদানত ছিল। সাম্রাজ্যবাদী বৃটেনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে চূড়ান্ত পর্যায়ে যে দুটি রাজনৈতিক দল স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী ভূমিকা রেখে গৌরব অর্জন করে সে দুটি দলের একটি ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, আরেকটি ছিল নিখিল ভারত মুসলিম লীগ। স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনাকালে কংগ্রেসের নেতৃত্বে যদিও হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরাই প্রধান ভূমিকা পালন করতেন, তবুও মওলানা আবুল কালাম আজাদ, হুমায়ুন কবীর প্রমুখ অল্পসংখ্যক মুসলমানও কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কংগ্রেসের দাবি ছিল, সাম্রাজ্যবাদী বৃটেনের শাসনাধীন সমগ্র ভারতবর্ষই অখণ্ড রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন করতে হবে।
কংগ্রেসের এই দাবির সাথে বাস্তবতার মিল ছিল না। সাম্রাজ্যবাদী বৃটেনের কবল থেকে স্বাধীন হবার আগে ১৯৩৫ সালে বিভিন্ন প্রদেশকে যে স্বায়ত্বশাসন দেয়া হয়, তাতে অধিকাংশ হিন্দুপ্রধান প্রদেশে সংখ্যালঘু মুসলমানরা জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়। এই দুঃখজনক অভিজ্ঞতার আলোকে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলমান প্রধান অঞ্চলে এবং অবশিষ্ট হিন্দু-প্রধান অঞ্চলে একাধিক স্বতন্ত্র, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ দাবির মধ্যে যদিও কোথাও ‘পাকিস্তান’ শব্দ ছিল না, পরবর্তী দিন বিভিন্ন হিন্দু সংবাদপত্র এ প্রস্তাব পাশের খবর ‘পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত’ এই শিরোনামে প্রকাশ করে। মুসলিম লীগও তাদের এ নামকরণ সমর্থন করে তাদের আন্দোলনকে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন তথা পাকিস্তান আন্দোলন রূপেই অভিহিত করে।

এভাবেই উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম প্রধান অঞ্চলে ১৯৪৭ সালে সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ শাসনের অবসানে ‘পাকিস্তান’ নামের একটি এবং অন্যান্য হিন্দু-প্রধান প্রদেশে ‘ভারত’ নামের আরেকটি স্বতন্ত্র, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ভারত একটি অবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডে অবস্থিত হওয়ায় তাতে তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের পশ্চিম ও পূর্ব অঞ্চলের মধ্যে প্রায় দুই হাজার মাইল ভারতীয় ভূখণ্ড থাকায় পাকিস্তান রাষ্ট্রের যাত্রা শুরু থেকেই নানা অসুবিধা দেখা দিতে থাকে। এছাড়া পাকিস্তান রাষ্ট্রের জনসংখ্যার মেজরিটি অংশ পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রাজধানীসহ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীসমেত সমগ্র প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় পূর্বাঞ্চলের জনগণের মধ্যে একটা হতাশা বিরাজ করতে থাকে।

এখানে আরেকটি কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, যে রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন পরিচালিত হয় তার জন্মই হয় ঢাকায় ১৯০৬ সালে নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে। তাছাড়া ১৯৪৬ সালে যে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে অবিভক্ত ভারতের মুসলমানরা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দাবিকে সমর্থন করে, যা অখণ্ড ভারতকে সমর্থন করে, এই ইস্যুতে তখন একমাত্র বাংলাতেই মুসলিম লীগ জয়ী হয়ে মুসলিম লীগের তদানীন্তন প্রধান নেতা কায়েদে আজম মুহম্মদ আলী জিন্নার হাতকে শক্তিশালী করতে সমর্থ হয়। বাংলায় ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ জয়ী হয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে প্রাদেশিক সরকার গঠন করতে সমর্থ হওয়ায় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তান রাষ্ট্রের নিকট পূর্বাঞ্চলের জনগণের প্রত্যাশাও বেড়ে যায় অনেক গুণ।

এছাড়া বাস্তবতার নিরিখে আরেকটি বিষয়ও এখানে উল্লেখের দাবি রাখে। সমগ্র জনসংখ্যার মধ্যে তদানীন্তন পূর্ব বঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণই ছিল মেজরিটি এবং তাদের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। অথচ সমগ্র পাকিস্তান রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে অবাঙ্গালী উর্দু ভাষাভাষীদের সংখ্যা অধিক হওয়ায় পাকিস্তান রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা রূপে চালিয়ে দেওয়ার এক গোপন অপচেষ্টা শুরু হয়ে যায়।

এর প্রমাণ পাওয়া যায় নতুন রাষ্ট্রের পোস্টকার্ড, এনভেলপ, মানি অর্ডার ফর্ম প্রভৃতিতে ইংরেজির পাশাপাশি শুধু উর্দুর ব্যবহার দেখে। এই পটভূমিতে শুরু হয়ে যায় বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গ্রহণের আন্দোলন। শুধু এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তান আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তানের ঐতিহাসিক অবদানের পটভূমিতে পূর্বাঞ্চলের স্বায়ত্বশাসন আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। ফলে সমগ্র পূর্ব পকিস্তানের জনগণের মধ্যে স্বাধিকার চেতনা জোরদার হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালে সমগ্র পাকিস্তানে জনসংখ্যার ভিত্তিতে যে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাতে সমগ্র পাকিস্তানের মধ্যে আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ার কারণে সেখানে জনগণের রায়ের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত ছিল, সেখানে জনগণের স্বাধিকার চেতনাকে পশু বলে ধ্বংস করে দেবার লক্ষ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তানের তদানীন্তন সামরিক শাসনকর্তাদের এ অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের জনগণ মরণপণ লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশের জনগণের এ মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত সাহায্য দিতে এগিয়ে আসে। কিন্তু এ ব্যাপারে ভারতের যে আন্তরিকতার অভাব ছিল তা ধরা পড়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও বেশ কিছু ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে থেকে যায় এবং তাদের কখন বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়া হবে সে সম্বন্ধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কিছু না বলায়। এখানে আরো উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি প্রথমে পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। লন্ডন গিয়েই তিনি জানতে পারেন যে, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও বেশকিছু ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে অবস্থান করছে। সাথে সাথে তিনি এ ব্যাপারে তাঁর ইতিকর্তব্য ঠিক করে ফেলেন।

লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসার পথে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে স্বল্পবিরতিকালে তিনি প্রথম সুযোগেই ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন, ম্যাডাম, বাংলাদেশ থেকে আপনি আপনার সেনাবাহিনী কখন ফিরিয়ে আনবেন?

জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আপনি যখন বলবেন, তখনই। এভাবেই বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনীর অপসারণ সহজ হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ না করতেন, তাহলে হয়তো এতদিনও আমাদের ভারতের আশ্রিত রাষ্ট্র হিসাবেই দুর্ভাগ্যজনক জীবন যাপন করতে হতো।
ভারতীয় নেতৃবৃন্দ সম্বন্ধে আমাদের এ বক্তব্যের কারণ যে কঠোর বাস্তবতা-প্রসূত তার প্রমাণ পাওয়া যায় আরেকটি ঘটনা থেকে। ১৯৭২ সালে লাহোরে একটি বিশ্ব মুসলিম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসাবে সেখানে বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র ভারত এর প্রবলভাবে বিরোধিতা করে। একদিকে একটি মুসলিম-প্রধান রাষ্ট্রের নেতা হিসাবে লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব মুসলিম সম্মেলনে যোগদানের ইচ্ছা, অন্যদিকে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র ভারতের প্রবল বিরোধিতা, এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তা ঠিক করে উঠতে না পারায় তিনি যাঁকে তাঁর মুরুব্বী হিসাবে মনে করতেন, সেই মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর শরণাপন্ন হয়ে তাঁর পরামর্শ কামনা করেন।

মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে বললেন, তুমি যদি একটি স্বাধীন দেশের নেতা হয়ে থাকো, তবে তোমার মনে যা চায়, তাই করো। আর যদি তুমি ভারতের আশ্রিত রাষ্ট্রের নেতা হয়ে থাকো, তাহলে ভারতের নেতারা যা বলে, তাই করো। এর ফলে বঙ্গবন্ধু তাঁর কাক্সিক্ষত সঠিক জবাব পেয়ে গেলেন এবং লাহোর মুসলিম সামিটে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। তবে দুঃখের সাথে বলতে হয়, বঙ্গবন্ধু যেদিন লাহোর মুসলিম সামিটে যোগ দিতে যান, সেদিন নয়াদিল্লিতে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

এসব ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় ভারত অযাচিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য দিতে এগিয়ে এলেও বাংলাদেশ একটি প্রকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে শক্তিশালী হয়ে উঠুক, ভারতের নেতৃবৃন্দ তা কখনো চান না। কারণ, বাংলাদেশ ভারতকে যতই মিত্ররাষ্ট্র মনে করুক, ভারত কখনো চায় না যে মুসলিম-প্রধান বাংলাদেশ একটি প্রকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে শক্তিশালী হয়ে উঠুক।

এ তো সে সময়কার কথা, যখন ভারতের শাসক দলে বেশকিছু মুসলিম নেতাও ছিলেন। এখন ভারতে চলছে এমন এক নেতার শাসন যিনি তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাকালে মুসলিম গণহত্যায় নেতৃত্ব দেয়ার কারণে ‘গুজরাটের কশাই’ নামে কুখ্যাত হয়েছিলেন। এখন এককালের ‘গুজরাটের কশাই’ বলে কুখ্যাত নরেন্দ্র মোদীর চলছে প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় মেয়াদ। প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচন চলাকালে তাঁর দলের নেতাকর্মীরা মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় মেয়াদে ভোট প্রার্থনা করেন এই কুযুক্তিতে যে, ভারতের মুসলমানদের দুর্বল ও নিশ্চিহ্ন করতে মোদীকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় আনতে হবে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপির নেতাকর্মীদের এ কুযুক্তির সাথে একমত পোষণ করে ভারতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির নেতা এককালের ‘গুজরাটের কশাই’ বলে কুখ্যাত নরেন্দ্র মোদীকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী পদে পুনঃনির্বাচিত করেছে জনগণ। সুতরাং এককালের বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন এবং অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতকে মুসলিম বিদ্বেষী ফ্যাসিবাদের দিকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই।



 

Show all comments
  • HOSSAIN ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:১৩ এএম says : 0
    It is very Critical to thinking for Muslims that Non-muslims are Friends of Muslims". But, Several, and several times I heard that a group of people of Bangladesh telling that india is a Best Friend of Bangladesh. How??? Please look at the Common Rivers what passing through the india, and Bangladesh, india the Best Friend of Bangladesh Blocked all Rivers. Very funny Friend ever!!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণতন্ত্র

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন