গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপির ওপর হামলা মানে গোটা জাতির উপর হামলা মন্তব্য করে এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ^বিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে শিক্ষকরা এমন মন্তব্য করেন। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ঢাবির ঐতিহ্যকে নষ্ট করেছে এই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এই হামলার পর আমরা শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। শুধু এই ঘটনা নয়, আজ ঢাবির বিভিন্ন হলেও সন্ত্রাসী হামলা চলে। মতের ভিন্ন হলেই মার দেয়া হয়। ভিপি তাদের মতের সমর্থন করেনা বলে তাকে মারা হয়েছে। ডাকসু ভিপির ওপর হামলা মানে গোটা জাতির উপর হামলা, পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর হামলা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার এবং নুরসহ সবার চিকিৎসার খরচ প্রশাসনকে বহন করার দাবি জানান তিনি।
রোকেয়া হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. লায়লা নূর ইসলাম সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বলেন, ডাকসু সমগ্র জাতির গৌরবের জায়গা। সে জায়গায় সন্ত্রাসী হামলা মেনে নেয়া যায়না। ঢাবির উপর আঘাত আসলে জাতির ওপর আসে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল, কিন্তু প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের প্রফেসর আলাউদ্দিন বলেন, আজকে সাদা দল কেন? সব শিক্ষকের প্রতিবাদ জানানোর কথা ছিল। পর পর নয়বার আক্রমন হওয়ার পরও আমরা শিক্ষকরা নিরাপত্তা দিতে পারিনি। এই হামলাযজ্ঞে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক প্রফেসর আলাউদ্দিন হোসেন সম্রাট বলেন, নয়টা ক্যামেরা ছিল ডাকসু ভবনে। একদল নুরদের মারে, আরেকদল নিয়ে যায় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ দিনের পর দিন এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। তবুও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ডাকসুতে হামলা হবে, আমরা ঘরে বসে থাকব তা হবেনা।
প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে অর্ধশতাধিক শিক্ষক এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, প্রফেসর ড. মো. আবদুর রশীদ, প্রফেসর মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।