যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ঘুম সবার জন্য চাই-ই-চাই। ঘুমের সব কিছু, কেমন করে ঘুম হয় সব তো জেনে উঠতে পারেননি এখনও বিজ্ঞানীরা। তবু জেনেছেন বটে বিজ্ঞানীরা যে প্রতিটি স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি এবং বেশিরভাগ সর্পজাতীয় প্রাণী, উভচর ও মাছ সবারই প্রয়োজন ঘুম।
ঘুমের সময় কী হয় : মগজ রিচার্জ হয়। দেহকোষগুলোর মেরামতি হয়ে যায়। শরীর থেকে উৎসারিত হয় গুরুত্বপূর্ণ সব হরমোন। বয়স ভেদে ঘুমের চাহিদা হয় ভিন্ন ভিন্ন। শিশুদের জন্য ১৬ ঘন্টা। ৩-১২ বছরের ছোটদের জন্য ১১ ঘন্টা। ১৩-১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের জন্য ৯ ঘন্টা। ১৯-৫৫ বছরের লোকদের জন্য ৮ ঘন্টা। ৬৫-এর বেশি বয়সের মানুষের জন্য ৬ ঘন্টা। পুরুষ অন্য পুরুষকে স্বপ্নে দেখে ৭০ শতাংশ সময়। মহিলারা পুরুষ ও মহিলা দু’জনকে দেখে স্বপ্নে সমভাবে। ১২ শতাংশ স্বপ্ন দেখে কেবল সাদা কালো। তবে রঙিন টিভি আবিস্কারের পর রঙিন স্বপ্ন দেখা বেড়ে গেছে।
আমরা যাদের মুখ একবার দেখেছি, তাদের মনে রাখি বা না রাখি, এদের কিন্তু স্বপ্নে দেখি। ঘুম বৈকল্য আছে নানা রকম। প্যারাসমনিয়া এমন এক বৈকর্য যখন না ঘুমিয়ে অনেকে করেন অস্বাভাবিক নড়ন-চড়ন। স্বপ্ন দেখা স্বাভাবিক ব্যাপার। যারা সাধারণত স্বপ্ন দেখেন না এদের ব্যক্তিতে বৈকল্য থাকে। যে অবস্থানে শুয়ে কেউ ঘুমায় তা তার ব্যক্তিত্ব নির্ণয় করে। বেশিরভাগ মানুষ কুন্ডলী পাকিয়ে ঘুমায়। এদের ৪১ শতাংশ মনে কর্কশ কিন্তু বস্তুত এরা উষ্ণহৃদয় ও খোলামনের মানুষ। শক্ত কাঠের মতো শুয়ে ঘুমায় যারা এরা সামাজিকভাবে প্রজাপতির মতো চরিত্র। বেঁকে শুয়ে ঘুমায় যারা তারা খোলা মনের, কিন্তু সন্দেহজনক। সৈন্যদের ভঙ্গিতে শোয়া ৮ শতাংশ মানুষ সংরক্ষণশীল মনের। যারা মাছের ভঙ্গিতে ঘুমায় তারা খুব ভালো শ্রোতা। বিবাহিত দম্পত্তির চার জনের মধ্যে একজন ঘুমান ভিন্ন খাটে।
ব্রিটিশ সৈন্যরা প্রথম উদ্ভাবন করে একটানা ৩৬ ঘন্টা নিঘুম কাটানোর উপায়। সবচেয়ে কম সময় ঘুমায় যেসব স্তন্যপায়ী, যেমন-জিরাফ, দিনে ১.৫ ঘন্টা, হরিণ দিনে ৩.০৯ ঘন্টা, হাতি দিনে ৩.১ ঘন্টা। সবচেয়ে দীর্ঘসময় ঘুমায় যেসব স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন-কোয়েল দিনে ২২ ঘন্টা, বাদামি বাদুর ১৯.৯ ঘন্টা, প্যাংগোলিন ১৮ ঘন্টা। ডলফিনরা যখন ঘুমায় তখন তাদের মগজের মাত্র অর্ধেক ঘুমায়। অন্য অংশ জেগে থাকে এবং চালায় শ্বাসক্রিয়ার চক্র। খাদ্যে সহিচত হয়ে মরার আগে ঘুমে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যু হয়। ২ সপ্তাহ অনশনে মৃত্যু হতে পারে কিন্তু ১০ দিনে নির্ঘুম থাকলে মৃত্যু আসে ধীরে ধীরে।
অন্ধলোকও স্বপ্নে দেখে নানা প্রতিচ্ছবি। যারা জন্মান্ধ এরাও স্বপ্নদেখে : আবেগ, অনূভুতি, শব্দ, গন্ধ স্পর্শজনিত স্বপ্ন দেখে। জেগে ওঠার পাঁচ মিনিটের মধ্যে স্বপ্নের ৫০ শতাংশ আমরা ভুলে যাই। ১০ মিনিটের মধ্যে ৯০ শতাংশ স্বপ্নের মিলিয়ে যায় মন থেকে।
সাংবাদিক-কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।