পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি বাথরুম থেকে ঘুমন্ত মাদকসেবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় বাথরুম ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় শুরু হয় জরুরি বিভাগের চারিদিকে হৈ চৈ, চিল্লাচিল্লি। খবর পেয়ে সেখানে আসেন সরকারি সিনিয়র স্টাফ, পুলিশসহ অন্যান্য লোকজন। গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল সকালে বাথরুম ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা ঘণ্টাব্যাপী দরজা ধাক্কাধাক্কি করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে স্টাফদের পাশাপাশি খবর দেয়া হয় হাসপাতাল পুলিশকে। এরই মধ্যে অনেকে বাথরুমের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। তারা একেক জন একেক মন্তব্য করতে থাকেন। কেউ বলেন বোরখা পরা এক ব্যক্তি, আবার কেউ বলতে থাকেন লুঙ্গি ও কালো রঙের বোরকা পরা দুইজন আছেন। এরই মধ্যে সেখানে শতাধিক লোক জড়ো হন। সরকারি স্টাফদের পাশাপাশি রোগীর স্বজনরাও সেখানে অবস্থান নেন। তাদেরও কৌতুহল জাগতে থাকে আসলে বাথরুমে কী পড়ে আছে, লাশ না অন্যকিছু।
কিছুক্ষণ পরে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতাল থেকে নির্দেশ পেয়েছি বাথরুমের দরজা ভেঙে ফেলার জন্য। এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ পুলিশের উপস্থিতিতে বাথরুমের দরজা ভেঙে ফেলে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান কালো রঙের একটি পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি পরা এক যুবক দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছেন। পরে সেখান থেকে মনির নামে ওই যুবককে জাগিয়ে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে বলেন, বাথরুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কোনো হুঁশ ছিল না আমার।
পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, এরা হচ্ছে ভবঘুরে মাদকসেবী। মেডিক্যালের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে মাদক সেবন করেন। তারা হাসপাতালে বাথরুমকে মাদক সেবনের উপযুক্ত স্থান মনে করে। প্রায়ই এদের ধরা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।