২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
মাইগ্রেনের ব্যথা খুব কষ্টকর। খুব তীব্র মাথা ব্যথা হয় এই অসুখে। পৃথিবীর বহু মানুষই এই ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে। পরিসংখ্যান না থাকলেও আমাদের দেশে মাইগ্রেনের অনেক রোগী দেখতে পাওয়া যায় । মাইগ্রেনে তীব্র মাথাব্যথার সাথে অনেক সময় বমি থাকে এবং শরীরে প্রচন্ড অস্বস্থি হয়। বিভিন্ন কারণে আবার এ মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত জোরে শব্দ করা, তীব্র আলো অথবা মানসিক চাপ মাইগ্রেন ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। দেখা যাচ্ছে যাদের মাইগ্রেন ব্যথা আছে তাদের মধ্যে ঘুমের সমস্যার হার বেশী। আবার যদি ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলেও কিন্তু মাইগ্রেনের অ্যাটাক হতে পারে। বর্তমান এই প্রতিযোগিতার যুগে মানসিক চাপ ও অধিক সময় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের কারনে ঘুমের সমস্যায় অনেকে আক্রান্ত।
মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত ৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝেই এই ব্যথা হয়। তখন রোগীরা খুব কষ্ট পায়। কারন তীব্র মাথা ব্যথা হয়। এবং দেখা যায় অফিস বা স্কুল কামাই হয়ে যা । গবেষণায় দেখা গেছে যাদের মাইগ্রেন আছে তাদের ঘুম ভালো হয় না। এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এই না ঘুম হওয়ার কারণে আবার মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।
মাইগ্রেনের দুই রকমের চিকিৎসা আছে। এক ধরণের চিকিৎসা যখন হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হয় তখন দেয়া হয়। আরেক ধরণের চিকিৎসা আছে যেটা সব সময় ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথা ওঠে না। দেখা গেছে যদি মাইগ্রেন প্রতিরোধক ওষুধ নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে ঘুমের বেশ উন্নতি হয়। এতে করে এটাক হওয়ার হার কমে যায়।
আগেই বলেছি ভাল ঘুম না হওয়া এখনকার দিনের একটি বড় সমস্যা। নানা পারিবারিক, সামাজিক এবং অফিসের বিভিন্ন কাজের চাপে মানুষের ভালোভাবে ঘুম আসছেনা। অনেকেরই এই সমস্যা হচ্ছে। ভাল ঘুম না হলে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই ভালো ঘুমের চেষ্টা করা দরকার । ভালো ঘুমের জন্য দরকার সঠিক সুন্দর পরিবেশ এবং মানসিক প্রশান্তি।
ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে অবশ্যই মোবাইল এবং ল্যাপটপ বন্ধ করে দিতে হবে। ঘুমানোর বিছানা শুধুমাত্র ঘুমানোর কাজে ব্যবহার করতে হবে, এখানে এসে আর কোন কাজ নয়। নিয়মিত যদি ভাল ঘুম না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেভাবে প্রয়োজনে পরামর্শ নিতে হবে বা ওষুধ খেতে হবে। ভাল ঘুম হলে মাইগ্রেনের প্রকোপ অনেক কমে যাবে। তাই মাইগ্রেনের রোগীদের যাতে ভালো ঘুম হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। অন্য কোন শারীরিক বা মানসিক কারনে ভাল ঘুম না হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।