শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
কোন অনুভূতির বহি:প্রকাশের জন্য মনের ক্যানভাসের কল্পনাকে বাস্তবের রঙে রাঙানোই হল চিত্রকলা। সভ্যতার প্রায় সব উপাদান বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে, কিন্তু থেকে যায় শিল্পকর্ম আর চিত্রকলা। ইসলাম একটি আধুনিক জীবন বিধান। যার মূল শিক্ষা হলো আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (স.)হলেন আল্লাহ প্রেরিত নবী ও রাসূল। ইসলামের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআন আর নবী প্রদত্ত জীবন পদ্ধতি দ্বারা যারা পরিচালিত হয় তারাই হল মুসলিম। মুসলমানদের নান্দনিকতা চর্চা, চিত্রকলার ইতিহাস অতি প্রাচীন।
ইসলামি চিত্রকলা বলতে আমরা আরবি, পারসি, তুর্কী, মিশরীয় এবং ভারতীয় চিত্রকলাকেই বুঝি। ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিত ভিন্ন হলেও ধর্মীয় অনুশাসনের কারনে চিত্রকলার বৈশিষ্ট্যে অভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। সপ্তম শতাব্দীর শেষের দিক থেকে যখন পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান, দেশ ইসলামের পতাকাতলে একত্রিত হতে শুরু করে তখন থেকেই বিভিন্ন সভ্যতার দূর্লভ গ্রন্থসমূহ পাহলভী এবং সিরীয় ভাষার মাধ্যমে আরবী ভাষায় অনুদীত হতে থাকে। মহানবী (স.) এর অমর বাণী ‹ জ্ঞান চর্চার জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও› এক নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। এই বানীতে উদ্দীপ্ত হয়ে ইসলামি সভ্যতা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা ও সৃষ্টিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে অধিষ্ঠিত হয়। প্রাক ইসলামি সভ্যতার বিখ্যাত গ্রন্থ অনুবাদের মাধ্যমে মুসলিমরা জ্ঞান চর্চার বিশাল সমুদ্রে অবগাহন করে।
ইসলামি চিত্রকলা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই মনে রাখতে হবে ইসলামে চিত্রকলা বৈধ কি বৈধ নয়। হযরত মুহাম্মদ (স.) বেঁচে থাকা কালীন ধর্মীয় এবং ইহজাগতিক সকল কর্ম কান্ডের নির্দেশক ছিলেন তিনি। তাঁর মুখ নিসৃত বাণীই পরবর্তী কালে হাদিস বলে গন্য হয়। মহানবী (স.) মৃত্যুর পর খোলাফায়ে রাশেদীন এবং উমাইয়া আমল পর্যন্ত হাদিস স্মৃতিতে রাখা হত এবং প্রয়োজনানুযায়ী হাদিস বেত্তারা তা মৌখিক ভাবে পরিবেশন করতেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতা যেমন- কাগজের আবিষ্কার, চামড়া বা উপযোগী উপকরনের অভাবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়ে উঠেনি। তাছাড়া উমাইয়া শাসকদের সাথে মহানবী (স.) বংশধরদের দ্বন্দ্ব হাদিস সংকলনে সহায়ক ভূমিকা রাখেনি। ঐতিহাসিক তারাবীর তথ্য থেকে জানা যায় স্মৃতিতে হাদিস সংকলন এক সময় দূর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তারাবী উল্লেখ করেছেন ইবনে আবি আল-আওজা নামক এক কুফা অধিবাসী হাদিসবেত্তা ৭৭২ সনে মৃত্য দন্ডাদেশ প্রাপ্ত হবার পূর্বে স্বীকার করে গিয়েছেন যে সমাজে স্বীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি চার হাজার হাদিস নিজেই তৈরি ও প্রচার করেছিলেন। এভাবে ইসলাম ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর বহু বেদাত ইসলামে অনুপ্রবেশ করে। অন্য বিষয় ভাবনার উদ্রেক করে যে, প্রধান হাদিস সংকলনকারী আবু দাউদ এবং আল নাসাই ব্যতিত বোখারি, মুসলিম, তিরমিযী এবং ইবনে মাজা সবাই পারস্যের অধিবাসী ও পারসিক মুসলিম ছিলেন। তাইতো আমরা দেখতে পাই, উমাইয়া আমলের হাদিস বেত্তাদের স্মৃতিতে সংরক্ষিত হাদিস বিশেষ নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে বোখারী ছয় লক্ষ হাদিস আরব শেখদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে মাত্র সাত হাজার দুইশত পঁচাত্তরটি সহীহ্ বলে গ্রহণ করেছিলেন।
আধুনিক অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন চিত্রকলার প্রতি কঠোর মনোভাব ইসলামের প্রারম্বিক যুগে ছিল না। ঐতিহাসিকগন তাদের মতের যথার্থতা প্রমানে নবম শতাব্দীর মক্কার ঐতিহাসিক আযরাকীর একটি উদাহরণের অবতারণা করেন। মক্কা বিজয়ের পর মহানবী (স.) যখন কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন তখন তিনি কাবার দেয়াল এবং স্তম্ভে কিছু ছবি দেখতে পান। দেয়ালের ছবি গুলোকে তিনি মুছে ফেলতে বলেন, কিন্তু স্তম্ভে যীশুকে কোলে নিয়ে ম্যারীর যে ছবি বিদ্যমান ছিল তা মুছতে নিষেধ করেন। এই ছবিগুলো যখন আবদ আল্লাহু ইবনে জুবায়েরের সাথে উমাইয়া সৈন্যদের ৬৮৩ সনে যুদ্ধ হয় এবং তার প্রেক্ষিতে কা›বা আগুনে পুড়ে ধ্বংস প্রাপ্ত হয় তখন পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। ইতিহাসিক ইবনে সান্দ (মৃ:৮৪৫সন) হযরত আয়েশা (রা.) পুতুল খেলার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতেও মহানবী (স.) বাঁধা প্রদান করেছেন এমন উল্লেখ নেই।
ইসলামি চিত্রকলার কথা আলোচনা করলে প্রথমেই আসে আরব চিত্রকলার কথা। উমাইয়া চিত্রকলা দুটি মাধ্যমে বিকশিত হয়। প্রথমটি হল মোজাইক এবং দ্বিতীয়টি হল দেয়াল বা মেঝের ফ্রেসকো। মোজাইকের প্রাথমিক উদাহরণ হল খলিফা আবদ আল- মালিক নির্মিত কুব্বাত আস- সাকরার ভেতর। মোজাইক চিত্রের অন্যতম আর একটি হল খলিফা আবদ আল - মালিকের পুত্র খলিফা আল ওয়ালীদ কর্তৃক ৭০৫-১৫ সনে নির্মিত দামেস্ক জামে মসজিদের অভ্যন্তর। এতে প্রাক-ইসলামি রোমান, সিরীয়, বাইজ্যান্টাইন প্রভাবে প্রভাবান্বিত। ফ্রেসকো চিত্রকলার উমাইয়া তথা আরব ইসলামি স্থাপত্যে প্রথম দেখতে পাওয়া যায় কুসায়ের আমরায়। এই প্রাসাদটি জর্দানের রাজধানী আম্মান হতে প্রায় পঞ্চাশ মাইল পূর্বে মরু অঞ্চলে অবস্থিত। জার্মান প্রত্মতাত্ত্বিক আলোইস ম্যুসলি ১৮৯৮ সনে প্রাসাদটি আবিষ্কার করেন। ফ্রেসকো চিত্রকলা হল পলেস্তরা সম্পূর্ন শুকানোর পূর্বে দেয়ালে যে চিত্র অংকন করা হয় তাই ফ্রেসকো। কুসায়ের আমরার ফ্রেসকো চিত্র আরব তথা প্রারম্বিক ইসলামি চিত্রকলার প্রাচীনতম নিদর্শন। চিত্রবিশারদদের মতে রোমান যুগের পূর্ববতী কোন অরাজকীয় স্থাপত্য নিদর্শনে ফ্রেসকোর এু সমারোহ দেখা যায় না। উমাইয়া আমলের ন্যায় আব্বাসীয় আমলেও ফ্রেসকো চিত্রকলা স্বগৌরবে ছিল। খলিফা মনসুর নির্মিত মদিনাত আস- সালাম এর মাঝে একটি। হারুন অর রশীদ এর রাক্কার গেট ও তার অন্যতম নমুনা।
মোজাইক এবং ফ্রেসকো চিত্রকর্মের পর কাগজ আরব বিশ্বে সহজ লভ্য হবার পরে চিত্রকর্মে প্রধান উপকরণের স্থান অধিকার করে। শতাব্দীর প্রথম থেকেই কাগজ আবিষ্কারের কথা জানত চৈনিকরা। চৈনিক এই কাগজ তুর্কীস্তান হয়ে আরব সাম্রাজ্যে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রবেশ করে। আব্বাসীয় আমলে ৭৫১ সনে সমরকন্দ ও তাশখন্দের মাঝামাঝি কাংগলীর যুদ্ধে আরব বিজয়ের পর সেখান থেকে এক কাগজ নির্মানকারী চৈনিককে সমরকন্দে নিয়ে আসা হয়। এই সমরকন্দেই মুসলিম বিশ্বের প্রথম কাগজ কল প্রতিষ্ঠিত হয়। সমরকন্দ থেকে বাগদাদ। কাগজের বই প্রকাশিত হবার সাথে সাথে চিত্রলিপি প্রসারিত হয় দ্রুতই।
ইসলামিক চিত্রকলার অন্যতম নিদর্শন হল পারসিক চিত্রকলা। ৬৩৭ সনে খলিফা উমরের সময়ে মুসলিম সেনাপতি সান্দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস কর্তৃক পারস্য মুসলিমদের অধীনে আসে। রাজনৈতিকভাবে সাসানীয় সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হলেও সাংস্কৃতিকভাবে তা সম্ভবপর হয়নি। আর বিজয়ী আরবরাও তা চায়নি। আরব মুসলিমরা শুধুমাত্র নিজেদের সুবিধার্তে রাষ্ট্রীয় এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সাসানীয়দের প্রতিষ্ঠান গুলোকেই ইসলামী আবরনে রেখে দেয়। এভাবে পারস্যে একটি মিশ্র সভ্যতার সৃষ্টি হয়।
তাইতো আমরা পারসিক চিত্রকলায় সাসানীয় পাহলভী রুপকে ব্যাঙময় হতে দেখি। ১২৫৮ সনে মোঙ্গল শাসক হালাকু খান বাগদাদে যে ধ্বংসলীলা চালায় তা সবার জানা। পরবর্তীতে তার বংশধরেরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। তারা পারস্যে ইলখানী সাম্রাজ্য স্থাপন করে। মূল মোঙ্গলীয় গোষ্টী থেকে বিচ্ছিন্ন পারস্যে আগমনকারী মোঙ্গলরা নিজেদের ‹ইলখানী› বা অধীনস্ত খান হিসেবেই পরিচয় দিতেন। ইলখানী চিত্রকলায় বিশেষ সমাদৃত নাম গযন খান। ইলখানী সভা শোভিত করতেন বিখ্যাত শেখ সাদী (র.)। তিনি তার গ্রন্থ গুলিস্তা ও বুস্তান এর জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। গযন খানের নির্দেশে মান্নাফ আল - হায়ওয়ানা( প্রানীকূলের প্রয়োজনীয়তা) প্রথম চিত্রায়িত বই। আব্বাসীয় খলিফা আল- মুত্তাকীর সময়ে তার খ্রীষ্টান ডাক্তার ইবনে বখতিশু ৯৪১ সনে বইটি রচনা করেন। গযনের আদেশে ১২৯৮ সনে আবদ আল- হাদী কর্তৃক ফার্সীতে অনূদিত এবং চিত্রায়িত হয়। ১৩৭০ সনে তৈমুর লং কর্তৃক সমরখন্দ দখলের মাধ্যমে পারস্য আবার বিশাল সাম্রাজ্যের রুপে আবির্ভূত হয়। এ সময় শিরায, হেরাত, সমরখন্দ ও বুখারাতে শিল্প ও চিত্রকলার বিপ্লব ঘটে।
উসমানীয়রা সেলজুক গোত্রীয় তুর্কী। আদি বাসস্থান মধ্য এশিয়ার উইঘুর অঞ্চল। ১০৫৫ সালে বাগদাদ দখল করে আব্বাসীয় খলিফার নিকট হতে তারা সুলতান উপাধী গ্রহন করে পারস্যের শাসক হন। ১০৭০ সনে মালাযকার্দ যুদ্ধে সেলজুক সুলতান আলপ আরসালান বাইজ্যান্টাইন সম্রাট রোমানেস ডিওজেনিসকে পরাভূত করে আনাতোলিয়া দখল করেন। উইঘুর তুর্কীগন হেলেনেস্টিক, বৌদ্ধ ও মানিকীয় ধর্মের প্রভাবে সর্বপ্রানবাদী এবং মায়াবাদে বিশ্বাসী ছিল। সেলজুক তুর্কীরা পারস্য ও ইরাকে প্রবেশ করে ইসলাম গ্রহন করলেও তারা তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। যা তাদের চিত্রকলায় লক্ষ্য করা যায়। মুহম্মদ ফাতিহর সময় কনস্টান্টিনোপল বিজয় হবার পর ইতালি থেকে বিখ্যাত চিত্রকর মাতে ও দি পাস্তি, জেন্তিল বেলিনী, মাস্তোরী পাভলী কে তার দরবারে হাজির করা হয়। তাছাড়া পারস্য থেকে আগু বিখ্যাত শিল্পীরাতো ছিলই। এ সময়ের অন্যতম চিত্রকর্ম হল মুহম্মদ ফাতিহর অঙ্কিত প্রতিকৃতি এবং কিতাব -ই-জাররাহিয়া-ই-ইলখানিয়ে নামক চিকিৎসা বিষয়ক বইয়ের চিত্র অন্যতম। এই সময়ের আর একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম হল তোপকাপি সরাই মিউজিয়ামে রক্ষিত নুযহাত আল- আমরার- আল - আহবার দা সেফের- ই- সিজেতভার।
উমাইয়া শাসনামলে ৭১২ সনে সিন্ধু এবং পান্জাব মুসলিম শাসনের অধীনে আসে। অত:পর দ্বাদশ শতকে সুলতান কুতুব উদ্দীন আইবেক দিল্লীতে সালতানাত প্রতিষ্টিত করেন। মধ্যপ্রাচ্যের আরব চিত্রকলার বিষয় বস্তু যেমন আরবীকৃত হেলেনিক, খ্রীষ্টীয় বা পারসিক গ্রন্থ থেকে নীত, তেমনি অঙ্কন পদ্ধতি ও পারসিক বা খ্রীষ্টীয় ধারায় নীত। কিন্তু ভারতবর্ষে বৌদ্ধ, হিন্দু বা জৈন চিত্রকলার সাথে সরাসরি মিশ্রনে ভারতীয় সুলতানী চিত্রকলা গড়ে উঠেনি। সুলতানী শাসনামলে রচিত সবচে পুরোনো গ্রন্থ গৌর চন্দ্রের প্রেম উপাখ্যান চন্দায়ন। পারসিক প্রেম কাহিনী অবলম্বনে রচিত চন্দায়ন ১৩৮৯ সনে মৌলানা দাউদ ফিরোজ শাহ তুঘলকের মন্ত্রী জাহান শাহের জন্য রচনা করেছিলেন। মুসলিম ভারতীয় চিত্রকলাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ সম্পূর্ণ ভারতীয় রীতির, দ্বিতীয় ভাগ ভারতীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংমিশ্রনে, তৃতীয় ভাগ পারসিক রীতির। সুলতানি আমলে বাংলার চিত্রকলার কথা না বললেই না। দিল্লীর শাসন থেকে বাংলা স্বাধীনতা ঘোষনা করে ১৩০৬ সনে। গৌড়, পান্ডুয়ার স্থাপত্যে পরিলক্ষিত চিত্রকর্ম বাংলার মুসলিম চিত্রকলার গৌরবের কথা বলে দেয়। হোসাইন শাহী সুলতান নসরত শাহের আমলে শরাফনামা চিত্রকর্মটি বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে আছে। এর প্রথম অংশ ইসকান্দরনামা নামে খ্যাত নয়টি চিত্র সম্বলিত। তাছাড়া দাক্ষিনাত্য, আহমদ নগর, বিজাপুর, গোলকুন্ডা প্রভৃতি স্থানে ও ইসলামী চিত্রকলার ব্যাপকতা পরিলক্ষিত হয়।
ভারতে ইসলামি চিত্রকলার অন্যতম একটি হল মুঘল চিত্রকলা। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর থেকে শুরু করে আকবর, হুমায়ুন, জাহাঙ্গীর ও শাহ জাহান সবাই শিল্প ও সাহিত্য বোদ্ধা ছিলেন। তাছাড়া বাবর নিজেই কবি, পন্ডিত এবং শিল্পকলায় উৎসাহী ছিলেন। তার রচিত বাবর নামা সাহিত্য এবং ইতিহাসের দিক থেকে অনন্য। আকবরের ফতেপুর সিক্রী, জামি মসজিদ, শেখ সেলিম চিশতির সমাধি মুঘল চিত্রকলার অন্যতম নিদর্শন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।