Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেই অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর ঢামেকে মৃত্যু

স্বামীর ঘরে ঠাঁই না পেয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:১৩ পিএম

ভালোবেসে বিয়ে করার এক বছর পরও স্বামীর ঘরে ঠাই না পেয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করা সেই গৃহবধূ মারা গেছে। শনিবার ভোর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই গৃহবধূর স্বামী মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থা রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিট থেকে দগ্ধ গৃহবধূকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর থেকেই গৃহবধূর স্বামী মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ পায়নি পুলিশ।

জানা গেছে, ঘরে স্ত্রী সন্তান থাকার পরও এক বছর আগে কুড়িগ্রামের কাঠালবাড়ি এলাকার ফজল হোসেনর মেয়ে আদুরীকে (২৫) বিয়ে করে সুন্দরগঞ্জের মিজানুর রহমান। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামধন গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে বিয়ের পর আদুরীকে বগুড়ায় একটি ভাড়া বাসায় রাখলেও বাড়িতে তোলেনি। এমনকি কোন যোগাযোগ না রাখায় স্বামীর স্বন্ধানে ৩ নভেম্বর বাবার বাড়ি কুড়িগ্রাম থেকে রামধন গ্রামে স্বামী মিজানুরের বাড়িতে আসে আদুরী বেগম। দিনভর অপেক্ষা করেও সতীন খুশি বেগম ও স্বামীর স্বজনদের বাধার মুখে বাড়িতে উঠতে না পেরে রাতে শিশু সন্তানকে রেখে নিজের গায়ে আগুন দেন তিনি। অগ্নিদগ্ধ আদুরীকে ওই রাতেই রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। বর্তমানে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আদূরি।

এদিকে, ৩৩ দিন বয়সের শিশু সৌরভ শুধু মায়ামমতা বঞ্চিত হয়নি, মায়ের বুকের দুধ না পেয়ে শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। ক্ষুধা নিবারন করতে বাজারের দুধ কিনে খাওয়াচ্ছে তাঁর দাদি আঞ্জুয়ারা বেগম। আর মায়ের দেখা না পাওয়ায় বারবার কাঁদছে শিশুটি। তবে শিশুটিকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বায়োমিল্ক খাওয়ানো হচ্ছে। শিশু সৌরভের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত করেছেন।


এদিকে, শনিবার রাতে নিজ শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার আগে শিশুটিকে মিজানুরের চাচির কাছে রেখে যান আদুরি। এসময় শিশুটির যতœ ও মায়ের মমতায় রাখতে অনুরোধ করেন ওই গৃহবধূ। তাঁর কিছুক্ষণ পরেই ওই গৃহবধূ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ