মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উপসাগরীয় অঞ্চলে সাম্প্রতিক উত্তেজক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কুয়েতের মাধ্যমে চিরপ্রতিদ্বদ্বী সউদী আরব ও বাহরাইনের কাছে সমঝোতার বার্তা পাঠিয়েছে ইরান। বিষয়টি গোপনে করা হলেও সম্প্রতি কুয়েতের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ আল-জারালাহ তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো উত্তর এখন পর্যন্ত আসেনি। এ খবর দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউ আরব।
এর আগে ইরান জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মঙ্গলবার সউদী বাদশাহ সালমানের কাছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন। ইরানি বার্তা সংস্থা তাসনিম এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি রাবি বলেন, ‘চিঠির মূল বক্তব্য ছিল আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা।
আমরা মনে করি এই অঞ্চলে একাধিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গঠিত হতে পারে। মার্কিন চাপের কারণে প্রতিবেশীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া উচিৎ নয়।’
খবরে বলা হয়, ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে সউদী আরব সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে। এরপর এবারই প্রথম এ ধরণের প্রচেষ্টার কথা শোনা গেলো। মুখপাত্র আলি রাবি আরও জানিয়েছেন, একই ধরণের চিঠি পাঠানো হয়েছে বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার কাছে। এছাড়া উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট জিসিসি’র কয়েকটি সদস্য দেশ ও ইরাকের কাছে লেখা পৃথক চিঠিতে নিরাপত্তা ও সহযোগিতার প্রসঙ্গ টেনেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
এসব চিঠিতে হরমুজ শান্তি উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। এই শান্তি পরিকল্পনায় মার্কিন সম্পৃক্ততাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া এক ভাষণে উপসাগরীয় শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। এরপর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ যারিফ গত মাসে এই শান্তি পরিকল্পনা প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে উপস্থাপন করেন। রুহানি সউদী আরব সহ উপসাগরীয় দেশগুলোকে এই পরিকল্পনায় সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
অক্টোবরে কুয়েতের আল রাই দৈনিকে প্রকাশিত এক নিবন্ধে যারিফ বলেছেন, এই পরিকল্পনায় ইরানের সঙ্গে সউদী আরব, ইরাক, ওমান, ইউএই, কুয়েত, কাতার ও বাহরানের বিস্তৃত নিরাপত্তা ও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা সহযোগিতার মধ্যে, আগ্রাসন-বিরোধী চুক্তি, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা, জ্বালানি, চলাচলের স্বাধীনতা, ইত্যাদি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বশক্তির করা পারমানবিক চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার পর থেকেই উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মে মাসে এই উত্তেজনা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায় যখন ইরানও ওই চুক্তির বাধ্যবাধকতা থেকে সরতে শুরু করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরপর ওই অঞ্চলে বিভিন্ন জাহাজে হামলা হয়েছে, ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এমনকি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। এই জুনে ট্রাম্প ইরানে হামলা চালাতে গিয়েও সিদ্ধান্ত বদল করেন। সেপ্টেম্বরে সউদী তেল স্থাপনায় হামলা চালানো হয়, যার ফলে দেশটির তেল উৎপাদন অর্ধেক কমে আসে। এজন্য সউদী আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান দেশগুলো ইরানকে দায়ী করে, যদিও ইরান অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ওই হামলার জন্য দায়ী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।