Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘গানের ভক্ত আছে, কিন্তু বিয়ের পাত্র নেই!’

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:২৯ পিএম

ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নিতেই ‘ইন্ডিয়ান আইডল’। সেখান থেকেই অন্তরা মিত্রর পথ চলা শুরু। গানকে সঙ্গে করেই মুম্বইযাত্রা। সম্প্রতি ‘কলঙ্ক’-এ তাঁর গান জনপ্রিয় হয়েছে। দ্বিতীয় ব্রেক পেতে এতটা সময়? ‘‘ছোটখাটো কাজ করেছি অনেক। আসলে বড় ব্রেক পেতেও সময় লাগে। তবে ‘অ্যায়রা গ্যায়রা’ গেয়ে বেশ ভাল লাগল,’’ বললেন অন্তরা।

প্রায় ১৩ বছর হল তিনি মুম্বইয়ে। বলতে গেলে সেখানেই তাঁর বড় হওয়া। ‘‘শুরুর দিকে এখানে একা থেকেছি। তখন ভয় করত, অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু এখন আর এটা নতুন বা অন্য শহর বলে মনে হয় না। নিজের শহরই হয়ে গিয়েছে। অজানার ভীতিটা কেটে গিয়েছে।’’

তবে ইন্ডাস্ট্রিতে অনিশ্চয়তা তো থাকেই। রাতারাতি রিপ্লেসড হয়ে যাওয়ার ঘটনাও নতুন নয়। অন্তরার স্পষ্ট জবাব, ‘‘এই ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ রিটায়ার করে না, কোনও কারণ ছাড়াই জাস্ট বার করে দেওয়া হয়। একটা সময়ে তোমাকে দিয়েই সব গান গাওয়াবে, তার পরে হয়তো এমন সময়ও আসতে পারে, যখন কোনও গানই পাবে না। তার মধ্য দিয়েই আমাদের সারভাইভ করতে হয়।’’

অন্তরার সারভাইভাল অনেকটাই সহজ করে দিয়েছেন সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম। অন্তরা এখন প্রীতমের ক্রিয়েটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট। তাঁর কাছ থেকেই অন্তরার কাজ শেখা, ‘‘প্রথম প্রথম তো জাস্ট বসে থাকতাম। লিরিক্স লেখা, হুক ক্র্যাক করা... এ সব দেখে দেখে শিখেছি। স্টুডিয়োয় বসে অবজ়ার্ভ করেই শেখা। তাই স্টুডিয়োই আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা।’’

মুম্বইয়ে থাকলেও মন তো খোঁজে বাঙালি সঙ্গ। সেই কারণেই হয়তো অরিজিৎ সিংহও অন্তরার খুব কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছেন। বেশির ভাগ সময়েই অরিজিতের বাড়িতে চলে যান অন্তরা। সেখানেই চলে আড্ডা। ‘‘অরিজিৎ না থাকলেও ওর বউয়ের সঙ্গেই আড্ডা মারি। আবার ধরো প্রীতমদা স্টুডিয়োয় নেই। সেখানে গিয়ে আমি আর অরিজিৎ সিঁড়িতে বসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা মেরে কাটিয়ে দিই।’’ বলতে গেলে প্রীতমের স্টুডিয়ো তাঁদের স্ট্রেসবাস্টার। ফলে কোনও কাজ না থাকলে সেখানেই জমে ওঠে আড্ডা। ‘‘তাই তো দাদার স্টুডিয়োর নাম দিয়েছি চক্রব্যূহ। যে এক বার সেখানে ঢোকে, আর বেরোতে পারে না।’’

আর সেই চক্রব্যূহ থেকে বেরোতে পারবেন না বলেই হয়তো কলকাতায় ফেরার ইচ্ছে নেই অন্তরার। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলা ছবির গান তো মুম্বইয়েই রেকর্ডিং হয়। তাই কলকাতায় থাকার দরকার নেই। তবে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আরও কাজ করতে চাই।’’

আর প্রেম, বিয়ে, সংসার? হেসেই উড়িয়ে দিলেন গায়িকা, ‘‘প্রচুর ছেলে আশপাশে। কিন্তু এই যে রাত-দিন গান গাই, তাই বিয়ে করতে চায় না কেউ। গায়িকাদের গান শুনতে ভালবাসে সকলে, কিন্তু সংসার? কখনও নয়।’’

সূত্র : আনন্দবাজার।

 



 

Show all comments
  • fazlul huqu ৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:১৬ পিএম says : 0
    Thank youe
    Total Reply(0) Reply
  • Ruku ৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৮ পিএম says : 0
    Please come here Austria. THANKS
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সঙ্গীত


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ