মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং মুসলিম নেতারা শনিবার বলেছেন যে, শ্রীলংকায় ইস্টার সানডের বোমা হামলা নিয়ে যে তদন্ত হয়েছে, যেখানে সরকারকে দোষারোপ করা হয়েছে, মুসলিম সম্প্রদায়কে নয়। ২১ এপ্রিল আটজন আত্মঘাতী হামলাকারী তিনটি চার্চ ও চারটি হোটেলে যে বোমা হামলা করে, তাতে ২৬৯ জন মানুষ নিহত হয় এবং আহত হয় প্রায় ৫০০ জন। পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিলান্থা জয়াবর্ধনে সন্ত্রাসী হামলার ১৭ দিন আগে ৪ এপ্রিল তথ্য পেয়েছিলেন, কিন্তু তার কাজের গতি ছিল খুবই শ্লথ। কমিটি বলেছে যে, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদেরকে যদি জাহরানের ব্যাপারে ৯ এপ্রিল ব্রিফ করা হতো, তাহলে হয়তো পদক্ষেপ নেয়া যেতো এবং ইস্টার সানডের হামলা এড়ানো যেতো। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতা চরমপন্থী ধর্মপ্রচারক মোহাম্মদ জাহরান – যে নিজেও আত্মঘাতী হামলায় অংশ নিয়েছিলÑ সে ২০১৫ সাল থেকেই নজরদারিতে ছিল এবং ২০১৭ সালের মার্চে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল। কলম্বো ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী মুহিদ জিরান বলেন যে, পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটির কর্মপ্রক্রিয়া এবং তাদের রিপোর্টের মধ্যে শুধু ‘দোষারোপের খেলা’ রয়েছে, যেটা পরিচালনা করছে সরকার। তিনি বলেন যে, রিপোর্টে হামলার কারণ অনুসন্ধানের দরকার ছিল এবং চরমপন্থী বোমা হামলাকারীদের উদ্দেশ্য তুলে আনা দরকার ছিল। তিনি বলেন, “তার বদলে হামলায় জড়িত নয়, এমন কিছু নিরপরাধ মুসলিমকে আটক করা হয়েছে, যাদের ব্যাপারে এখনও কোন বিচারিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে না”। ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সাবেক গভর্নর ও ন্যাশনাল ইউনিটি অ্যালায়েন্স নেতা আজাথ স্যালি অ্যারাব নিউজকে বলেছেন যে, শ্রীলংকার মুসলিম সম্প্রদায়কে যে রিপোর্টে দোষারোপ করা হয়নি, এটার জন্য তিনি খুশি। আর্চবিশপ ম্যালকম কার্ডিনাল রঞ্জিতকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে, বোমা হামলায় কিছু বাইরের শক্তি জড়িত ছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, কার্ডিনাল হয়তো হামলার সাথে জড়িত আসল মানুষদের পরিচয় প্রকাশ করবেন যারা এখন বাইরে বাস করছে। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম স্কলারকে তদন্তের সময় আটক করা হয়েছে”। শ্রীলংকা মুসলিম কংগ্রেসের নেতা এন এম আমিন বলেছেন যে, রিপোর্টে এটা স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে যে, কট্টরপন্থী বৌদ্ধ অ্যাক্টিভিস্টদের মোকাবেলার জন্য হাতে গোনা কিছু বিভ্রান্ত মুসলিম তরুণকে এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। আমিন বলেন, “আমরা এই রিপোর্টের ব্যাপারে সত্যিই খুশি, যেখানে হামলার কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যার্থতার জন্য সরকারকে দায়ি করা হয়েছে”। কমিটি বলেছে যে, প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনার এবং প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্গের মধ্যে খোলামেলা বিবাদ, এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কটও নিরাপত্তা ব্যর্থতার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সিরিসেনা “একাধিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে ব্যার্থ হয়েছেন এবং সরকার ও সরকারী সিস্টেমটে সক্রিয়ভাবে অবজ্ঞা করেছেন। তিনি নিজের মতো করে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক করেছেন এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সেখানে আমন্ত্রণ জানাননি”। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।